দেশের সংকটময় মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে চট্টগ্রামে একসঙ্গে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে গুজব ও লুটপাট বন্ধে সবাইকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি প্রতিরোধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জেলার থানা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর চালানো হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ে। সে মুহূর্তে ট্রাফিক, আইনশৃঙ্খলা, বাজার তদারকি ও পরিচ্ছন্নতাসহ নানান জরুরি কাজে মাঠে নামেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। তবে এবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে মাঠে নেমেছে। বেশ কয়েকটি মতবিনিময় সভার মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটিও গঠন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি থানায় থানায় সমন্বয়করাও থাকবেন।
সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তিন ভাগে ভাগ হয়ে সবসময় মাঠে থাকব। এই স্বাধীনতা নষ্ট হতে দেয়া যাবে না, ধরে রাখতে হবে। পুরো জাতি আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।’
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ভেদাভেদ ভুলে দেশ সেবায় সব পুলিশ সদস্যকে মাঠে থাকতে হবে। আবারও কাজ শুরু করতে হবে।’
জেলা প্রশাসক আবুল বসর মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘সবাইকে এক কাতারে আনতে আমি উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা ও সমন্বয়করা একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থাপনা পদির্শন করেছি। এছাড়া ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের পরিবারের কাছেও যাচ্ছি।’
এছাড়া চাঁদাবাজি, লুটপাট বন্ধ ও নাশকতাকারীদের আইনের আওতায় আনার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। আর কোনো ধরনের গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানান পুলিশ কমিশনার।