জীবনে চলার পথে মানুষের গুনাহ হয়। তবে গুনাহমুক্ত জীবন আল্লাহর সবচেয়ে বড় নেয়ামত। গুনাহ থেকে মুক্ত থাকলেই পরকালে মিলবে জান্নাত। অনন্ত অসীম কাল সুখের জীবন লাভ করতে দুনিয়ার মোহ থেকে মুক্ত থাকা অপরিহার্য।
رَبِّ إِنِّىْ ظَلَمْتُ نَفْسِىْ فَاغْفِرْ لِىْ উচ্চারণ: রব্বি ইন্নি জলামতু নাফসি ফাগফিরলি। অর্থ: হে আমার রব, নিশ্চয় আমি আমার নফ্সের প্রতি যুল্ম করেছি, সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। (সুরা আল ক্বসাস ১৬)
رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ উচ্চারণ: রব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুর রহিমিন। অর্থ: হে আমাদের রব! আপনি ক্ষমা করুন, দয়া করুন এবং আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সুরা আল মুমিনুন ১১৮)
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ جِدِّيْ وَهَزْلِىْ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগ ফিরলি জিদ্দি ওয়া হাজলি
অর্থ: ইয়া আল্লাহ! আমার ঐ সকল গুনাহও মাফ করুন, যা আমার উদ্দেশ্য ছিল এবং ঐ গুনাহও, যা উদ্দেশ্য ছিল না।
অনেক গুনাহ এমন আছে, যা মানুষ চিন্তা-ভাবনা ছাড়া এমনি হাসি-ঠাট্টার মধ্যে করে বসে। বিশেষত মুখের গুনাহের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটে থাকে। ঐ সব গুনাহর জন্যও এ দোয়া করা যায়।
গুনাহ মাফ ও জাহান্নামের ‘আজাব থেকে বাঁচার দোয়া رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ উচ্চারণ: রব্বানা ইন্নান আমান্না ফাগফিরলানা জুনুবানা ওয়াক্বিনা- আজাবান্নার। অর্থ: হে আমাদের রব! নিশ্চয় আমরা ঈমান এনেছি। অতএব আমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আজাব হতে রক্ষা করুন’।[9]. সূরা আ-লি ‘ইমরা-ন ৩ : ১৬।
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন,
তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না। (বুখারি ৬৩৪০)
হাদিসে এসেছে, হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন। অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে। (তিরমিজি)
রসুল সা. বলেছেন, যদি কেউ চায় যে বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হোক, তাহলে সে যেন সুখের দিনগুলোতে বেশি বেশি দোয়া করে। (তিরমিজি ৩৩৮২)
হজরত সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দোয়া ছাড়া আর কিছুই তাকদির পরিবর্তন করতে পারে না আর নেক আমল ছাড়া আর কিছুই বয়সে বৃদ্ধি ঘটায় না। (সহিহাহ ১৫৪, তিরমিজি ২১৩৯)