পুলিশ সংগঠিত হয়ে স্বাভাবিক কাজ শুরু করলে সেনানিবাসে ফেরত যাবে সেনাবাহিনী বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। এ সময় রাজনৈতিক দলগুলোকে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম থেকে বিরত থেকে শান্তিপূর্ণ কার্যক্রমের আহ্বানও জানান সেনাপ্রধান।
সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে তিনি শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে খুলনা বিভাগে কর্মরত সেনাবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনা শেষে এসব কথা বলেন। এ সময় সেনবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প পরিদর্শন ও সেনা সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সেনাপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘দেশে অরাজক পরিস্থিতির শুরু থেকেই মাঠে কাজ করছে সেনাবাহিনী। গত কয়েক দিনে পুলিশের অনুপস্থিতিতে থানাগুলোতেও নিরাপত্তায় কাজ করেছে তারা।’
পুলিশের নিষ্ক্রিয় থাকায় কাজ করা অনেকটা দুরূহ ছিলো জানিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান বলেন, ‘এসব পরিস্থিতি সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণে এনেছে, ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়ে আসছে।’
থানাগুলোর নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী কাজ করেছে জানিয়ে সেনা প্রধান বলেন, ‘এরই মধ্যে দেশের ৯০ শতাংশ থানায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পুলিশ পুরোপুরি কাজ শুরু করলে সেনাবাহিনী সেনানিবাসে ফেরত যাবে বলেও জানান তিনি।’
সংখ্যালঘু ইস্যু হয়েছে জানিয়ে সেনা প্রধান বলেন, ‘সারা দেশে ২০টি জেলায় ৩০টি সংখ্যালঘু অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, যার অধিকাংশই রাজনৈতিক। এ সময় রাজনৈতিক দলগুলোকে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানান সেনাপ্রধান।’
দেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সহিংসতা সব ঘটনার তদন্ত করবে বলেও আশ্বস্ত দিয়ে সেনা প্রধান বলেন, ‘পুলিশ স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরলে সব ঘটনার তদন্ত হবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি আশাব্যঞ্জক। পরিস্থিতির আরও উন্নতি হলে সব নিয়মিত বাহিনী সন্ত্রাস দমনে তাদের অভিযান পরিচালনা করবে।’
এ সময় জনগণ ও রাজনীতির জন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে সব সহিংসতা পরিহার করার আহবান জানান তিনি।
এর আগে সেনাপ্রধান খুলনা বিভাগে কর্মরত সেনাবাহিনীর সদস্যদের দিকনির্দেশনা দেন। পরে খুলনার বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, ডিআইজি, কেএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।