রাজধানীর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। প্রায় এক সপ্তাহ পর আজ সোমবার তাঁরা রাজধানীর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে যোগ দিলেন। গতকাল রোববার থেকেই রাজধানীতে যানজট বেড়ে গিয়েছিল ব্যাপক হারে। আজও তীব্র যানজট আছে। রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও দায়িত্বপালন করছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান বলেছেন, ‘একটা ছন্দপতন হয়েছিল। আজ আবার ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কাজে যোগ দিয়েছেন। এ সপ্তাহের মধ্যে সকলেই যোগ দেবেন বলে আশা করা যায়।’
গণ-আন্দোলনের জেরে গত সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। আন্দোলনের সময় অনেক থানায় হামলা হয়। এরপর রাজধানীর থানাগুলো যেমন পুলিশশূন্য হয়ে যায় আবার ঢাকার রাস্তায়ও ট্রাফিক পুলিশ দেখা যায়নি। পরে থানাগুলোর কার্যক্রম শুরু হয়। আর এ সময়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নেন। গত কয়েক দিন অবশ্য রাজধানীতে যানবাহন কম ছিল। কিন্তু গতকাল থেকে যানবাহন বাড়তে থাকে।
আজ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক পুলিশ দেখা যায়। মো. মুনিবুর রহমান বলেন, ‘আজ একটা আইস ব্রেকিং হলো। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা নেমেছেন। এর মধ্যে মিরপুরের ১৫টি স্থানে, গুলশানে ৯টি স্থানে, উত্তরায় ৫ স্থানে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা নিয়ন্ত্রণ করছেন।’
আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা অনেক দিন ধরে বন্ধ ছিল। সেখানে অনেক সহিংসতাও হয়েছে। আজ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক পুলিশ নামলেও যাত্রাবাড়ীতে এখনো দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান মো. মুনিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘যাত্রাবাড়ী এলাকায় স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। সেখানে কিছু পয়েন্টে ট্রাফিক রয়েছে। তবে সব জায়গায় নয়।’
নগরবাসীর চলাচল অনেক সহজ করে দেওয়া মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন আন্দোলনের সময় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্ধ হয়ে যায় মেট্রোরেল চলাচল। আবার এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজাও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর পর থেকে নগরীতে ব্যাপক যানজট দেখা দেয়। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হয়েছে। তবে যানজট কমছে না।
রাজধানীতে এ সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাফিক পুলিশ পুরোপুরি কাজ শুরু করতে পারবে বলে আশা করেন মুনিবুর রহমান।