Homeশিক্ষালুট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে জাবিতে মানববন্ধন

লুট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে জাবিতে মানববন্ধন

সারা দেশে স্বৈরাচারের রেখে যাওয়া দুষ্কৃতকারী কর্তৃক সংগঠিত হত্যা-লুণ্ঠন-অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন।

সোমবার (১২ আগস্ট) বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন রাস্তায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহরাব সিফাতের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এ-সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৃধা শিবলী নোমান বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি সংখ্যালুঘুদের ধর্মীয় উপাসনালয়, বাসা বাড়িতে, হামলা, লুটতরাজের ঘটনা ঘটছে।রাজধানীর ঢাকা শহরেও আমরা দেখতে পাই ডাকাত আতঙ্কে মানুষ দিন কাটাচ্ছে। আপনারা দেখবেন বাংলাদেশে যখনই কোন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পটভূমি পরিবর্তন হয়েছে তখন এই সংখ্যালুঘু টার্ম কার্ড হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। এবং এটিকে ইস্যু করে বিভিন্ন রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়া প্রপাগান্ডা সৃষ্টি করছে।

আমাদের এই প্রপাগান্ডার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে, এর আগেও আমরা দেখেছি কিন্তু এতোটা স্বৈরশাসন দেখিনি। এর আগেও একজন স্বৈরশাসক ছিলো সে কিন্তু দেশ থেকে পালিয়ে যায়নি কিন্তু এই স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে চলে গেছেন। এর মানে বুঝায় তিনি আসলে এ দেশের না।

তিনি ব্যক্তি চিন্তার বাহিরে আর কোন চিন্তা করেননি।আমরা দেখেছি ডাকাতি হচ্ছে কিন্তু বিশেষ বিশেষ অঞ্চলে ডাকাত পড়ে না এরা আসলে কারা? এরা হচ্ছে স্বৈরশাসকের দুষ্কৃতকারী। এদের থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে।’

সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আলম বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আমরা প্রত্যক্ষ করেছি অনেক ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গুলি চালিয়েছে। সেই অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে হবে। সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বীদের রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।তাদের ওপর যারা হামলা করছে তারা যে দলেরই হোক তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ইতিমধ্যে অনেক ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে, সাবেক পলায়নকারী প্রধানমন্ত্রী ১৫ আগস্ট তার নেতা-কর্মীদের ঢাকায় আসতে বলেছে। আমাদের সবার সতর্ক থাকতে হবে তা না হলে যে বিপ্লব ঘটেছে সেটা রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে।’

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘ছাত্র-জনতা মিলে স্বৈরাচার শাসকের পতন ঘটানো হয়েছে। কিন্তু ওই সরকারের দোষররা, সন্ত্রাসীবাহিনীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হত্যা করছে। এই সন্ত্রাসী বাহিনীকে আমরা ছাত্র-জনতা মিলে প্রতিহত করব। ক্যাম্পাসে সকল ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।’

Exit mobile version