এবার ছয় দফা দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন ১০ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
পরে সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম’ (বিএসআরএফ)- কার্যালয়ে আসেন তারা। এসময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মরত মো. মনির হোসেন তাদের ৬ দফা দাবির কথা সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন,
আমি ২১ বছরে মাত্র একবার পদোন্নতি পেয়েছি। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পরে আমাদেরকে এত বঞ্চিত করেছে, যেটা ভাষায় কল্পনা করা যায় না। ২০তম গ্রেডের একজন কর্মচারী ৮ হাজার ২৫০ টাকা বেতনের চাকরি করেন। তারা সর্বসাকুল্যে ১৫ হাজার ৮৫০ টাকা বেতন পান। এই টাকা দিয়ে কী ঢাকা শহরে তার সংসার চলে? আমরা বৈষম্যের শিকার। আমাদের যা সাত বছরে পাওয়ার কথা, তা বার বছরেও পাইনি।
অর্থমন্ত্রণালয়ের শাহীন আলম নামের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বলেন, বৈষম্যের মাধ্যমে উচ্চপদস্ত কর্মকর্তারা আমাদের দমিয়ে রাখতে চান। বৈষম্য দূর করতেই আমরা আন্দোলন করছি।
এরপর ৬ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়-
১. বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিয়োজিত সকল প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নিত করে ‘উপ-সহকারী সচিব’ পদনাম দিতে হবে।
২. বিদ্যমান আইনানুযায়ী ৭ বছরে ফিডার হওয়ার সাথে সাথে পদোন্নতি দিয়ে ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যা বিভিন্ন ক্যাডারে এরইমধ্যে করা হয়েছে।
৩. ১১-১৬ গ্রেডের কর্মচারীদের পদনাম ‘অতিরিক্ত উপ-সহকারী সচিব’ করতে হবে।
৪. ১৭-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের পদনাম ‘সাচিবিক সহায়ক’ করতে হবে।
৫. সচিবালয় ভাতা চালু করতে হবে (যা বিভিন্ন দফতরে/বিভাগে বিদ্যমান আছে।
৬. কর্মচারীদের স্বাধীন মতামত প্রকাশ করার জন্য সচিবালয় জারি করা ১৪৪ ধারা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করার স্বাধীনতাকে বাকরুদ্ধ করার জন্য আইসিটি আইন/সাইবার ক্রাইম আইন প্রত্যাহার করতে হবে।