বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান দ্রুতই নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
এর আগে গণ-আন্দোলনে ক্ষমতার পালাবদলের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অস্থিরতা দেখা দিলে গভর্নরের পদ ছাড়েন শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ পাওয়া আব্দুর রউফ তালুকদার। পদত্যাগ করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামও।
গভর্নর নিয়োগে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না, সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গভর্নর নিয়োগে আমরা ওপেনলি বলব না। ইমিডিয়েটলি সিদ্ধান্ত নেব। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষেত্রেও ইমিডিয়েট পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
ইসলামী ব্যাংক দখল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি বলছি কেউ আইনের বাইরে থাকবে না। যদি কেউ করে থাকে ইমিডিয়েটলি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব, যে-ই হোক। আমি তো এককালে ম্যাজিস্ট্রেট ছিলাম। ধরপাকড় তো কম করিনি আমরা। যে করেছে তাকে ধরব। তারপরও কে করেছে না করেছে নো বডি ইজ অ্যালাও।’
কিন্তু ঘটনা তো ঘটেছে, সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই জানে কারা ঘটিয়েছে, দেখেছে। আমি বিষয়টা নিয়ে আলাপ করব, দরকার হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে যাব।’
এটিএম বুথে টাকা না থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “টাকা নেই বিষয়টি কিন্তু তা না। এটা করা হয়েছে রিসেন্টলি সিচুয়েশনটা খুবই ‘ইয়ে’ ছিল, টাকা নিয়ে চলে যাবে। এটিএম বুথে তো ঝামেলা নেই।”
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কী বার্তা দিলেন, সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘কর্মকর্তাদের বলেছি আপনারা নিষ্ঠার সাথে মানুষের জন্য ইতিবাচক কাজ করবেন। কোনো কিছু ফেলে রাখবেন না, বাস্তবায়ন করবেন। আর সচ্ছতা-জবাবদিহিতা রাখতে হবে।’