পুলিশ প্রশাসনের অনুপস্থিতিতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, রাস্তা পরিষ্কারসহ এই ধরণের কাজ যেসব শিক্ষার্থী করছে তাদের সনদ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়–বিষয়ক উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। তাদের উদ্দেশ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যেসব শিক্ষার্থী রাস্তায় আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে তাদেরকে পুলিশের পক্ষ থেকে সনদ দেবেন। আপনাদের (শিক্ষার্থীদের) পড়াশুনা এবং চাকরির ক্ষেত্রে যাতে এই সার্টিফিকেটের মূল্যায়ন হয় যে, তারা নিজেদের পয়সা দিয়ে সড়ক পরিষ্কার, দেয়াল সুন্দর করছে।
সরকারি প্রজেক্ট হলে এক কাজে চারশো, পাঁচশো বা হাজার কোটি টাকা লাগত উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা (শিক্ষার্থীরা) নিজেরা এটা করছে। একটা দেশে এর চেয়ে ভালো উদাহরণ হতে পারে না।
রাস্তায় নিজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন এম সাখাওয়াত। বলেন, ‘তারা আমার গাড়িও ধরেছে। পতাকা আছে। তারা বলছে, পতাকা থাক আর যাই থাক, ডিকি খোলেন। আমিও বললাম, ডিকি খোলো। পরে আমাকে দেখে তারা বলল, না স্যার ডিকি খুলতে হবে না। আপনি যান।’
‘আমরা এটা নিয়ে খুবই খুশি। এটা পুলিশ করতে পারত না, এরা করছে। এরা তো আপনার কাছ থেকে চাঁদা নেয় না, এরা তো কোনো দোকানে গিয়ে বলে না যে, আমাকে খাবার দাও। এরা নিজের খাবার নিয়ে আসে, নিজের টাকায় রং কিনে দেয়ালে রং করছে।’
সরকারেরও এগুলো মূল্যায়ন করা উচিৎ বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। পুলিশ মহাপরিদর্শককেও এই বিষয়গুলো মূল্যায়ন করতে বলেন তিনি। বলেন, ‘উনাদের তরফ থেকে এই কাজের সঙ্গে যারা আছে প্রত্যেকের তালিকা করে সার্টিফিকেট দেবেন। এতে তারা খুশি হবে।’
ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষীতে আতঙ্কিত হয়ে পুলিশ সদস্যরা থানা ছেড়ে চলে যান। এতে ভেঙে পড়ে আইনশৃঙ্খলাসহ বড় শহরগুলোর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাস্তায় নামে শিক্ষার্থীরা। গত কয়েকদিন ধরে তারা রাজধানীসহ সারা দেশে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে। এছাড়া সড়ক পরিষ্কার এবং দেয়ালে দেয়ালে সুন্দর চিত্রকর্মী আঁকছে তারা।