করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজায় ইসরাইলি হানাদার বাহিনীর হামলার মধ্যে বিশ্বজুড়ে তৈরি হয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। একের পর এক সংকট এসে হাজির হচ্ছে মানুষের সামনে। যুদ্ধ ও সংঘাত ছাড়াও বৈশ্বিক উষ্ণতা আগামী দিনে নতুন এক সংকট হিসেবে দেখা দিতে যাচ্ছে। এটিকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে কী আশা করছে বিশ্ব তার ওপর আলোকপাত করা যাক।
অবস্থাদৃষ্টে বুঝা যায়, গণতন্ত্র এক কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। চরম এক অস্থিরতায় ঘুরপাক খাচ্ছে মানুষ। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কেবল দেশটির নাগরিকদের কাছেই না, বিশ্বের অন্য দেশগুলোর কাছেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। রয়টার্স, সিএনবিসি ও গার্ডিয়ানসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এমন তথ্য দিচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা ও জনগণ। এ নির্বাচনের ফল তাদের জন্য কী বয়ে নিয়ে আনতে পারে, সেই হিসাবও কষছেন তারা। বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হিসেবে বিবেচনা করা হয় এ নির্বাচনকে।
অনেকের মতো, রাজনীতিতে নতুন ধারার পথ দেখাচ্ছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার জনসমর্থনও তুঙ্গে। তবে দেশের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হলেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে এক অজনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ট্রাম্প। সম্প্রতি পেনসিলভানিয়ায় এক জনসভায় আকস্মিক হামলার শিকার হয়েও অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন সাবেক এ প্রেসিডেন্ট। এতে স্বদেশে তার জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়।
এবারের নির্বাচনে তার শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন ডেমোক্র্যাট দলের কামালা হ্যারিস। দলের মধ্যে ব্যাপক সমর্থন কুড়িয়েছেন এশীয়-আমেরিকান এ কৃষ্ণাঙ্গ নারী। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা যায়, তার চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক জরিপে দেখা যায়, আমেরিকানদের মধ্যে ট্রাম্পের সমর্থন ৪৯ শতাংশ। তার চেয়ে দুই শতাংশ পিছিয়ে আছেন কামালা। অথচ মাসখানেক আগে এক জরিপ বলেছে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চেয়ে ছয় শতাংশ এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। কামালা সেই ব্যবধান ধীরে ধীরে কমিয়ে আনছেন।
৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এতে যিনি জয়ী হবেন, তিনি ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে পরবর্তী চার বছরের জন্য হোয়াইট হাউজের বাসিন্দা হবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজে থেকেই কিছু আইন পাস করতে পারেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের সঙ্গে সমন্বয় করতে হয়। আর বৈশ্বিক মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উল্লেখ্যযোগ্য স্বাধীনতা আছে। এছাড়াও তিনি স্বাধীনভাবে দেশের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করতে পারেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা রেকর্ড পরিমাণ বাড়ছে। বিধ্বংসী দাবানল থেকে শুরু করে হারিকেন, বন্যা, দাবদাহ ও অনাবৃষ্টিতে আক্রান্ত হচ্ছে বিশ্ব। এতে আগামীতে চরম সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।
গেল ৫ জুন সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এ গ্রহের ভাগ্য নিয়ে আমরা জুয়া খেলায় মেতে উঠেছি। জলবায়ু সংকটের এই নরক থেকে আমাদের দ্রুত বেরিয়ে আসা উচিত। সত্যি কথা হলো, এই সংকট জোরালোভাবে মোকাবিলা করতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রে বসে যখন গুতেরেস এসব কথা বলছিলেন, তখন সে দেশটির আসছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জলবায়ু সংকটকে ব্যাপকভাবে কোণঠাসা করে দেখা হচ্ছে। জলবায়ুবিদরা বলছেন, আগামী নভেম্বরে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কামালা হ্যারিসের মধ্যে যে লড়াই হবে, তাতে কেবল যুক্তরাষ্ট্রেরই না, বৈশ্বিক জলবায়ু নীতিতেও প্রভাব পড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জলবায়ু সংক্রান্ত গোষ্ঠী ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ অ্যাকশনের সরকার ও রাজনৈতিক বিষয়ক পরিচালক অ্যারিয়েল মগের বলেন, ‘আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। কাজেই বিভিন্নভাবে, আমাদের এই গ্রহের তকদির আমেরিকান ভোটাদের ওপরই নির্ভর করছে। অনেকের কাছে আমার কথা বাগাড়ম্বরপূর্ণ মনে হলেও আমরা এই বাস্তবতার ভিতরেই বাস করছি।’
সবচেয়ে বেশি গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমনকারী দেশের তালিকায় চীনের পরেই দ্বিতীয় স্থানে যুক্তরাষ্ট্র। গেল বছরে দিনে গড়ে এক কোটি ২৯ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যদিয়ে ২০১৯ সালের রেকর্ড ভেঙেছে বিশ্বের শীর্ষ এ পরাশক্তি।
কিন্তু মার্কিন নির্বাচনের প্রচারে জলবায়ু সংকট খুব একটা গুরুত্ব পায়নি বলে দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, অর্থনৈতিক সংকট, অভিবাসন ও পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে যতটা আলোচনা হচ্ছে, সেই তুলনায় তেমন গুরুত্ব পাচ্ছ না জলবায়ু পরিবর্তন।
বেশ কয়েকটি জরিপে দেখা যায়, আমেরিকানরা যেসব বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, তাতে জলবায়ু সংকট গুরুত্ব পাচ্ছে না। গেল মে মাসে গ্যালপের এক জরিপে দেখা গেছে, কেবল দুই শতাংশ আমেরিকান মনে করেন যে জলবায়ু পরিবর্তন তাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা। বিপরীতে ৩৬ শতাংশ আমেরিকান অর্থনৈতিক সংকটকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। সরকার ও দুর্বল নেতৃত্বকে সমস্যা মনে করছেন ২১ শতাংশ।
গাজা যুদ্ধের কী হবে,
নির্বাচন সামনে রেখে মার্কিন প্রেসিডেন্টপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শুক্রবার (২৬ জুলাই) বৈঠক করেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এর আগে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসের সঙ্গেও তার বৈঠক হয়েছে। ভাষণ দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসেও।
ব্যাপক প্রতিবাদ ও মার্কিন আইনপ্রণেতারা বয়কট করলেও এক সপ্তাহের সফরে যুক্তরাষ্ট্রের যান নেতানিয়াহু। গাজায় ইসরাইলি হামলায় বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রেসিডেন্টপ্রার্থী কামালা হ্যারিস উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় কামালার সমালোচনা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, গাজাযুদ্ধ নিয়ে তার বক্তব্য অসম্মানজনক।’
নেতানিয়াহু বলেন, গাজাযুদ্ধে অস্ত্রবিরতির জন্য আলোচনা করতে রোমে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে ইসরাইল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও জোরদার করার চেষ্টা থেকেই নেতানিয়াহুর এই যুক্তরাষ্ট্র সফর বলে মনে করেন কূটনীতিকেরা।
২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের দায়িত্ব পালনকালে ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। তখন ফিলিস্তিনি সংকটকে গুরুত্বহীন বিবেচনা করে নেতানিয়াহুর সরকারকে জোরালো সমর্থন ও সহযোগিতা করেছিল ট্রাম্প সরকার।
যদিও ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর জো বাইডেন সরকারকে স্বীকৃতি দেন নেতানিয়াহু। এতে ট্রাম্পের সঙ্গে ইসরাইলি নেতার সম্পর্কে তিক্ততা দেখা দেয়। শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এখনো নেতানিয়াহুকে পছন্দ করি। আমি, অবশ্য, আনুগত্যও পছন্দ করি।’
এদিকে ‘এখনই গাজা যুদ্ধ বন্ধের সময় বলে নেতানিয়াহুকে বলেছেন কামালা হ্যারিস। ফিলিস্তিনিদের ভোগান্তি দেখে তিনি নীরব থাকবেন না বলেও জানান ডেমোক্র্যাট দলীয় এই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।
নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর গাজায় ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা লাঘবের প্রতিই জোর দেন কমলা। মানবাধিকারকর্মীদের অভিযোগ, ইসরাইলকে নিঃশর্ত সামরিক ও কূটনৈতিক সমর্থনের নীতি থেকে সরে না এসে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে কমলা সেইসব ভোটারদের টানতে পারবেন না, যারা জো বাইডেনকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হানাদার বাহিনীর নৃশংসতার দায় যুক্তরাষ্ট্রকে বহন করতে হবে।
বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকট
গেল মে মাসে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের এক জরিপে দেখা যায়, ৫৫ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন মার্কিন অর্থনীতি ছোট হয়ে আসছে। পাঁচজন আমেরিকানের মধ্যে তিনজনের বিশ্বাস, যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে আছে।
আর এ জন্য বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করছেন তারা। নির্বাচনের দিনক্ষণ যত ঘনিয়ে আসছে, মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে হতাশা তত ঘুরপাক খাচ্ছে।
গত ৩ জুলাই বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে সাধারণ মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে। কারণ দেশটির অর্থনীতি মারাত্মকভাবে গতি হারিয়েছে। ডেট্রয়েট ফ্রি প্রেসের খবর বলছে, মুদ্রাস্ফীতি মার্কিন নির্বাচনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা এনে দিতে না পারলেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতীতের ইতিহাসও ভালো খবর দিচ্ছে না। ট্রাম্পের আমলে করোনা মহামারিতে যখন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছিল, তখন দেশটির অর্থনৈতিক মার্কেটেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। দেশটির জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৪ ট্রিলিয়নের রেকর্ড স্পর্শ করেছিল।
গত এপ্রিলে গ্যালপের এক জরিপে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসন, অর্থনৈতিক ও মূল্যাস্ফীতির সমস্যার মধ্যে আছে বলে মনে করছেন নাগরিকরা।
কিন্তু ট্রাম্পের আমলে মার্কিন অর্থনীতি এক জটিল সন্ধিক্ষণ পার করেছে। তার রাজস্বকর্তন নীতি প্রবৃদ্ধিকেন্দ্রিক অঙ্গীকার পূরণ করতে পারেনি। তার সময়ে বাজেট ঘাটতি অনেক বেশি ছিল। এছাড়াও তার আমলের রাজস্ব ও বাণিজ্যিক চুক্তিগুলো কারখানায় কর্মসংস্থান ফিরিয়ে আনতে পারেনি।
এদিকে, চীনের সঙ্গে যে বাণিজ্যযুদ্ধ ট্রাম্পের আমলে শুরু হয়েছিল, জো বাইডেন প্রশাসনও সেটা অব্যাহত রেখেছে। বৈদ্যুতিক যান, ব্যাটারি ও সৌর সেলসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতকে রক্ষা করতেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। চীনা পণ্যে মার্কিন বাজার সয়লাব হওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ট্রাম্প ফের ক্ষমতায় এলে চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধ প্রবল রূপ নেবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সিএনবিসির খবর বলছে, হোয়াইট হাউজে দ্বিতীয় মেয়াদে বাণিজ্যযুদ্ধ ও অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতার নীতি নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে পারেন ট্রাম্প।
যদিও জো বাইডেন প্রশাসন বাণিজ্যযুদ্ধ নীতি বজায় রেখে চলেছে। কিন্তু অর্থনীতিবিদেরা বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতির দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিসম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে নতুন অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারেন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।
কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ঈশ্বর প্রাসাদ বলেন, চীন-মার্কিন বাণিজ্য বৈরিতা আরও জোরালো হবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে। দুদেশের মধ্যে ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক সম্পর্কে বিচ্ছিন্নতা তৈরি হবে।
তবে কামালা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যনীতির ক্ষেত্রে জো বাইডেনের নীতিই অনুসরণ করতে পারেন বলে ধারণা করছেন বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা।