গাজা যুদ্ধ নিয়ে গত ১০ মাসের বেশি সময় ধরে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। গত মাসে তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর পরিস্থিতি আরও থমথমে। এ হত্যাকাণ্ডে ইসরাইলকে দায়ী করেছে ইরান। প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর ঘোষণাও দিয়েছে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড। তবে এ পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে দেশ দুটির প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে জর্ডান।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, আমরা ইরান কিংবা ইসরাইলের জন্য যুদ্ধক্ষেত্র হব না। আমরা ইরানি এবং ইসরাইলি জানিয়েছি, আমরা কাউকে আমাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে এবং আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলতে দেব না।
আল আরাবিয়া টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের আকাশসীমার মধ্য দিয়ে যাওয়া বা আমাদের বা আমাদের নাগরিকদের জন্য হুমকি বলে মনে হয় এমন যেকোনো কিছুকে আমরা আটকাব।
চলতি বছরের এপ্রিলে ইরানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেশটির ভূমি থেকে ইসরাইলে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয়। হামলায় তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার হলেও এগুলো কাবু করতে পারেনি ইসরাইলকে। কারণ, তেল আবিবের পাশে ঢাল হয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মতো মিত্র দেশগুলো।
সেই সঙ্গে জর্ডানও ইরানি অনেক ক্ষেপণাস্ত্র আটকে দেয়। দেশটি সেসময় বলেছিল, নিজেদের আকাশসীমায় প্রবেশ করার কারণে সেগুলোকে আটকে দেয়া হয়েছে।
এদিকে হামাস নেতাদের হত্যা ও গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার (৯ আগস্ট) ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে। এসময় বিক্ষোভকারীরা জানান, এরইমধ্যে ইসরাইল অনেক বর্বরতা চালিয়েছে গাজাবাসীর ওপর। চলমান এ সংঘাত ও রক্তপাত অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানান তারা।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনী গাজার প্রায় ৪০ হাজার নিরীহ মানুষেক হত্যা করেছে। এছাড়াও, হত্যা করে চলেছে স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের প্রধান নেতাদের।