Homeআন্তর্জাতিকবাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সমর্থনে কলকাতায় বিক্ষোভ, সেখানেও পুলিশের বাধা!

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সমর্থনে কলকাতায় বিক্ষোভ, সেখানেও পুলিশের বাধা!

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমর্থনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বিক্ষোভ করেছে ছাত্র সংগঠন অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন (এআইডিএসও)। কিন্তু সেখানে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে জামায়েতের ডাক দেয় অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন।

পরে মধ্য কলকাতার পার্ক সার্কাস ময়দানে প্রায় এক ঘণ্টা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন সংগঠনটির সদস্যরা। কর্মসূচির অন্যতম অংশ ছিল কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান। কিন্তু এতে বাধা দেয় পুলিশ। এসময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তর্কে জড়াতে দেখা যায় পুলিশকে।

তবে পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে সড়কেই কর্মসূচি পালন করা হয়।

বাংলাদেশের এই আন্দোলন গোটা ছাত্র সমাজের জন্যই এক বড় দৃষ্টান্ত হতে পারে বলে অভিমত দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিরা। এছাড়া শুধু কলকাতা নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছেন তারা।

নিহত আবু সাঈদকে ক্ষুদিরামের সঙ্গে তুলনা

ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠীকে উচ্ছেদ করতে ফাঁসিকাষ্ঠে জীবন দিয়েছিলেন ক্ষুদিরাম বসু। তার এই আত্মবলিদান পরে অসংখ্য তরুণ-যুবককে ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামে যুক্ত হতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্র আবু সাঈদকে ক্ষুদিরামের সঙ্গেই তুলনা করছেন অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনের সদস্যরা।

তারা বলছেন, আবু সাঈদ যেভাবে পুলিশের বন্দুকের সামনে বীরের মতো বুক পেতে দিয়েছেন, স্বাধীনতাকামী সকলের জন্য তা নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণার।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আবু সাঈদ। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

এদিকে, বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে ভারতের ‘অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’ (এআইএসএ)-সহ মোট পাঁচ দেশের ৭টি ছাত্রসংগঠন। বুধবার (১৭ জুলাই) এআইএসএ-এর এক্স হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করা একাধিক বিবৃতিতে এই সংহতির কথা জানানো হয়।

ভারতের এআইএসএ ছাড়াও সংহতি জানানো অন্য সংগঠনগুলো হলো— অল নেপাল ন্যাশনাল ফ্রি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন, ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্ট ফেডারেশন (পাকিস্তান), সোশ্যালিস্ট স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (শ্রীলঙ্কা), সোশ্যালিস্ট ইয়ুথ ইউনিয়ন (শ্রীলঙ্কা), সোশ্যালিস্ট অ্যালায়েন্স (অস্ট্রেলিয়া), ইয়াং কমিউনিস্ট লিগ অব ব্রিটেন, সোয়াস লিবারেটেড জোন ফর গাজা (যুক্তরাজ্য)।

উল্লেখ্য, সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজধানী ও জেলা থেকে সময় সংবাদের প্রতিনিধের পাঠানো তথ্যে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর মধ্যে রাজধানীতেই কলেজ শিক্ষার্থীসহ সাতজন এবং সাভার, মাদারীপুর ও নরসিংদীতে একজন করে মারা গেছেন।

সর্বশেষ খবর