দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। একইসঙ্গে হামাসে সব সম্পত্তি জব্দ করারও নির্দেশ দিয়েছে দেশটি।
শনিবার (১৩ জুলাই) বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ার মিলেই দেশটির সঙ্গে ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ার জন্য হামাসকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এ প্রসঙ্গে আর্জেন্টাইন প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
আর্জেন্টাইন প্রেসিডেন্টের দফতর জানায়, গত বছর ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলের অবৈধ বসতিতে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এজন্যই মূলত হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে দেশটি।
দফতর থেকে আরও বলা হয়, ‘আর্জেন্টিনা আরও একবার পশ্চিমা সভ্যতার সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করবে।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হাভিয়ার মিলেই আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবারের মতো ইসরাইলে সফরে যান। ওই সময় পবিত্র নগরী জেরুজালেমে গিয়ে ইহুদিদের সঙ্গে প্রার্থনা করেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি ঘোষণা দেন বিরোধপূর্ণ জেরুজালেমে আর্জেন্টিনার দূতাবাস স্থানান্তরিত করবেন।
তবে এই ঘোষণার পর তিনি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রশংসা পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের সমালোচনার মুখে পড়েন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরাইলে আকষ্মিক হামলা চালায়। এতে ইসরাইলে ১ হাজার ২০০ বেসামরিক নিহত হয়। আর শতাধিক ইসরাইলি জিম্মি হয় হামাসের হাতে। এর পাল্টা জবাবে ইসরাইলের নেতানিয়াহু প্রশাসন ফিলিস্তিনে অনবরত হামলা শুরু করেছে। এতে এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী-শিশু।