ফুটবলের রেকর্ড আর লিওনেল মেসি যেন একে অপরের সমার্থক হয়ে গেছে। মাঠে নামলেই যেন তাকে হাতছানি দেয় রেকর্ডবুক। ফুটবলের প্রায় সব রেকর্ডই নিজের করে নিয়েছেন মেসি। ক্যারিয়ারে নেই কোনো অপূর্ণতা। চলতি কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে কানাডার বিপক্ষে গোল করে আরও একবার রেকর্ডবুকে নাম লিখিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন।
চলতি কোপা আমেরিকায় কোনো গোল পাচ্ছিলেন না লিওনেল মেসি। একের পর এক সুযোগ পেয়েও মিস করেছেন তিনি। তাতে মেসিকে নিয়ে সমালোচনা যে হয়নি তা নয়। এই বয়সেও ঠিকই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এলএমটেন। প্রায় দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে তার বাঁ বায়ের জাদুতে মোহিত করে যাচ্ছেন গোটা বিশ্বকে। ফুটবলে তার পাওয়ার আর বাকি নেই কোনো কিছু। তবুও আরও একটি রেকর্ড করে ফেললেন বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক।
মাংসপেশির ইনজুরিটা বেশ ভালোই ভুগিয়েছে মেসিকে। এরপরেও দলের কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি ম্যাচের আগে জানিয়েছিলেন, শতভাগ ফিট থাকুক আর নাই থাকুক, সেমিফাইনালে মেসি খেলবেন। কোপা আমেরিকার সেমিফািইনালে কানাডার বিপক্ষে মেসি দলে ছিলেন। ৫১ মিনিটে গোলও করেন। আর সেই গোলেই আরও একবার রেকর্ডবুকে নাম লেখালেন আর্জেন্টাইন এই জাদুকর। ফুটবলের ইতিহাসে জাতীয় দলের জার্সিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন মেসি। ইরানের কিংবদন্তী আলী দাঈকে পেছনে ফেললেন মেসি।
জাতীয় দলের হয়ে ১৮৬তম ম্যাচে এসে ১০৯তম গোল করলেন মেসি। তার সামনে আছেন শুধু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ এই সুপারস্টারের গোল সংখ্যা ১৩০টি। আর এক গোল করলেই আলী দাঈকে পেছনে ফেলে এককভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলের মালিক হবেন মেসি।
কানাডার বিপক্ষে এই গোলের মধ্য দিয়ে ৩৮টি ভিন্ন ভিন্ন দেশের বিপক্ষে গোল করলেন মেসি। প্রতিযোগিতামূলক খেলায় গোল পেয়েছেন ২১টি ভিন্ন দেশের বিপক্ষে। অন্যদিকে ২০০৭ সাল থেকে এটি তার ষষ্ঠ কোপা আমেরিকায় গোল। কেবল ঘরের মাঠে ২০১১ সালে তিনি গোল পাননি। কোপা আমেরিকায় এখন পর্যন্ত ১৪টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন মেসি। সবার উপরে আছেন মেসির স্বদেশী নরবার্ট মেন্ডেজ এবং ব্রাজিলের জিজিনহো।