এবারের কোপা আমেরিকায় নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না লিওনেল মেসি। কোপা আমেরিকার গত আসরে বলতে গেলে এককভাবে শিরোপা এনে দিয়েছিলেন মেসি। এরপর কাতারে আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জেতানোয়ও বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনিই। কিন্তু ইনজুরিতে ভোগা মেসি এবারের কোপা আমেরিকায় একের পর এক সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন। তবে সেমিফাইনালে কানাডার বিপক্ষে অবশেষে গোলের দেখা পেয়েছেন মেসি।
টানা দ্বিতীয়বারের মতো কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনা। ২০২১ সালে এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়েই ২৯ বছরের শিরোপাখরা দূর করেছিল আলবিসেলেস্তেরা। এরপর থেকেই রীতিমতো উড়ছে তারা। আর্জেন্টিনার এই জয়যাত্রায় সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক মেসি। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বয়স আর ইনজুরি অনেকটাই কাবু করে ফেলেছে তাকে।
এবারের কোপার গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচ ও কোয়ার্টার ফাইনাল মিলিয়ে টানা তিন ম্যাচে গোলশূন্য ছিলেন মেসি। কানাডার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে একটা অ্যাসিস্ট ছাড়া বলার মতো কিছুই ছিল না। একের পর এক সুযোগ মিস করেছেন টুর্নামেন্টজুড়ে। অবশেষে সেমিফাইনালে কানাডার বিপক্ষে ঘুচিয়েছেন গোলখরা। এনজো ফার্নান্দেজের পা থেকে আসা বলে পা ছুঁইয়ে গোলটি করেন এই মহাতারকা। যা তাকে কোপা আমেরিকার তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলের মালিকের আসনে বসিয়েছে।
তবে গোলটির পর অনেকেই মেসির দিকে আঙুল তুলছেন। তাদের দাবি, পা লাগিয়ে এনজো ফার্নান্দেজের গোল কেড়ে নিয়েছেন মেসি। কারণ মেসি পা না লাগালেও এনজোর গোল লক্ষের দিকেই যাচ্ছিল।
তবে সেই দাবি নাকচ করে দিয়েছেন খোদ মেসি। জানিয়েছেন, এনজোর গোল কেড়ে নেয়ার কোনো ইচ্ছাই তার ছিল না। এনজোকে বিষয়টি জানিয়েছেনও মেসি।
এ ব্যাপারে মেসি বলেন, ‘আমি তাকে (এনজো) বলেছি, আমার কোনো ইচ্ছাই ছিল না তার গোল কেড়ে নেয়ার, কিন্তু আমি দেখছিলাম গোলরক্ষককে ডাইভ দিতে এবং বলটা ধীরে আসছিল। এ জন্য আমি বলের দিক পরিবর্তনের জন্য পা ঠেকাই।’
সরল স্বীকারোক্তি মেসির!