কোপার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সকলেই কলম্বিয়া থেকে উরুগুয়েকে কিছুটা এগিয়ে রেখেছিলেন। তার কারণও আছে। উরুগুয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের মতো দলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। অপরদিকে কলম্বিয়া তুলনামূলক কম শক্তিশালী দল পানামাকে বিদায় করে সেমিতে উঠেছে। তবে সেই কলম্বিয়াই উরুগুয়েকে বিদায় করে ২৩ বছর পর কোপার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে।
শার্লটের ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) উড়তে থাকা উরুগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় কলম্বিয়া। উরুগুয়ের খেলোয়াড়রা এমন হার মানতে পারেনি। ম্যাচ শেষে হওয়ার পর মাঠের পাশে কলম্বিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন নুনেজ-হোসে গিমেনেজরা।
ম্যাচ হারের পর দেখা যায় উরুগুয়ের ফুটবলাররা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। উরুগুয়ের ডাগআউটের পাশের গ্যালারিতেই কলম্বিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন উরুগুয়ের ফুটবলাররা। তখন ছিলেন ডারউইন নুনেজ, হোসে গিমেনেজ এবং রোনাল্ড আরাউহোকে। সেসময় কোন নিরাপত্তাকর্মী তাদের আটকাতে আসেননি।
এরপর সংঘর্ষ বড় আকার ধারণ করলে সেখানে কয়েকজন প্রহরী এসে উরুগুয়ে ফুটবলারদের সরিয়ে নিয়ে যান। এর আগেই অবশ্য খেলোয়াড়দের সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন উরুগুয়ে কোচ বিয়েলসা। যদিও তাতে ঠেকানো যায়নি তাদের।
জানা যায়, ম্যাচের পর কলম্বিয়ান সমর্থকরা উরুগুয়ে স্ট্রাইকার ডারউইন নুনেজের দিকে প্লাস্টিকের গ্লাস এবং পানি নিক্ষেপ করেন। একইসঙ্গে গ্যালারিতে থাকা উরুগুয়ে ফুটবলারদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি বিভিন্ন ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্যও করেন। বিষয়টাকে মোটেই ভালোভাবে নেননি উরুগুয়ের দুই ডিফেন্ডার গিমেনেজ এবং আরাউহো। এতেই মূলত চটে যান তারা।
তখন কি হয়েছিল তার ব্যাখ্যা দিয়ে গিমেনেজ বলেন, ‘আমাদের পরিবারকে বের করে আনতেই হতো। সদ্যজাত বাচ্চারা ছিল ওখানে। কিন্তু কোনো পুলিশ নেই। আমি আশা করব তারা পরিবারগুলো, সমর্থক আর স্টেডিয়ামের আশপাশের নিরাপত্তায় আরও সতর্ক হবে।’ কলম্বিয়ান সমর্থকদের প্রসঙ্গে এই ডিফেন্ডারের বক্তব্য, ‘কীভাবে পান করতে হয় সেটাই ওরা জানেনা। একেবারে বাচ্চাদের মতো আচরণ। ভদ্র আচরণ ছিল না তাদের। এটা বিপর্যস্ত অবস্থা।’