২০২২ এর কাতার বিশ্বকাপেই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন হামেস রদ্রিগেজ। কলম্বিয়াকে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তোলার পথে করেছিলেন ৬ গোল। জিতেছিলেন বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতার গোল্ডেন বুট। এরপর রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়ে প্রথম মৌসুমেই হয়েছিলেন লিগের সেরা মিডফিল্ডার। কিন্তু পথ হারাতে সময় লাগেনি হামেসের। নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকা এই মিডফিল্ডারের ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছিলেন অনেকেই।
চলতি কোপা আমেরিকায় কলম্বিয়ার জয়রথ থামছেই না। আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) হার্ডরক স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে হট ফেবারিট উরুগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে দীর্ঘ ২৩ বছর পর কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেছে কলম্বিয়া। এদিন ম্যাচের ৩৯ মিনিটে জেফারসন লেরমা কলম্বিয়াকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন। তাকে গোলটি বানিয়ে দেন অধিনায়ক হামেস রদ্রিগেজ।
এদিন জেফারসনের গোলটি বানিয়ে দিয়ে দারুণ এক রেকর্ড গড়েছেন হামেস। লা কাফেতেরোস মিডফিল্ডারের এটি এবারের কোপা আমেরিকায় ষষ্ঠ অ্যাসিস্ট। কোপার এক আসরে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের রেকর্ডে হামেস পেছনে ফেলেছেন লিওনেল মেসিকে। ২০২১ সালের কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জেতানোর পথে ৪টি গোল করার পাশাপাশি পাঁচটি অ্যাসিস্ট করেছিলেন মেসি। এতদিন সেটিই ছিল কোপা আমেরিকার এক আসরে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট।
৩২ বছর বয়সী হামেস এবারের কোপা শুরু করেন প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়ের ম্যাচে জোড়া অ্যাসিস্ট করে। কোস্টারিকার বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয়ের ম্যাচে আরও একটি অ্যাসিস্ট করেন তিনি।
কোয়ার্টার ফাইনালে পানামাকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেয় কলম্বিয়া। এই জয়ের পথে একটি গোল করার পাশাপাশি দুটি অ্যাসিস্ট করেন হামেস। সব মিলিয়ে সেমিফাইনাল পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে ৬ অ্যাসিস্ট ও ১টি গোল করেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত এবারের কোপা আমেরিকার সেরা খেলোয়াড় তিনিই। ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে নিজের দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রাখতে পারলে হামেস জিতে নিতে পারেন জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম শিরোপা। সেই সঙ্গে আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার তার হাতে ওঠা অনেকটাই নিশ্চিত।
৩২ বছর বয়সী হামেস ইউরোপে পোর্তো, মোনাকোতে সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার পর ২০১৪ সালে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন। এরপর ২০১৭-২০১৯ পর্যন্ত বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে খেলেন। ২০২০-২১ মৌসুমে এভারটনে খেলার পর কাতারি ক্লাব আল রায়ানে এক মৌসুম খেলেন তিনি। এর পরের মৌসুমে গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোসে খেলে গত বছর ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সাও পাওলোয় থিতু হয়েছেন তিনি।