কোপা আমেরিকার সর্বোচ্চ গোলস্কোরার হওয়ার রেকর্ড হাতছানি দিলেও সুযোগ এখন অনেকটাই ফিকে লিওনেল মেসির জন্য। তবে সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল মিলিয়ে মেসি যদি চার গোল করতে পারেন, তবেই সঙ্গী হতে পারবেন স্বদেশী রবার্তো মেনডেসের সঙ্গে। আর যদি একটি মাত্র গোল করেন, তবে ভাঙ্গবেন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার রেকর্ড।
লিওনেল মেসি কি তবে ফুরিয়ে গেছেন? বার্ধক্য ভর করেছে তার পারফরমেন্সে? কোপা আমেরিকায় তার তিন ম্যাচের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে এমন প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করছেন সামলোচকরা। অবশ্য সে সুযোগ মেসি নিজেই করে দিয়েছেন। কানাডার বিপক্ষে সহজ সুযোগগুলো যেভাবে হেলায় হারিয়েছেন তিনি, তাতে একটু সমালোচনা যে হবে এটাই স্বাভাবিক।
শুধু পারফরমেন্স নয়। সম্প্রতি বেশ ইনজুরি প্রবণ হয়ে উঠেছেন লিওনেল মেসি। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি। কোয়ার্টার ফাইনাল খেললেও ইকুয়েডরের বিপক্ষে পুরো ম্যাচেই ছিলেন নিজের ছায়ায়। বয়সের কারণে অতি সহজ বিষয়গুলোও যে তার কাছে এখন কঠিন হয়ে যাচ্ছে, তা আড়ালে রাখার সুযোগ কই!
এসবের কারণে রেকর্ড ডাকলেও সাড়া দিতে পারছেন কই মেসি! কোপা আমেরিকায় সর্বোচ্চ গোলস্কোরার হওয়ার যে হাতছানি ছিল তার সামনে, তা এখন অনেকটাই ফিকে। এবারের আসরে সর্বোচ্চ আর দুই ম্যাচ পাচ্ছেন তিনি, চারটি গোল করতে পারলেই যৌথভাবে দখল করতে পারবেন শীর্ষস্থান।
১৭ গোল করে শতবর্ষী কোপার সর্বোচ্চ স্কোরারের আসন অলঙ্কৃত করে রেখেছেন লিওনেল মেসির স্বদেশী নরবার্তো মেন্ডেস। বর্তমান যুগের অনেকের কাছেই যিনি অচেনা। কারণ প্রয়াত এই আর্জেন্টাইন জাতীয় দলের বুটজোড়া তুলে রেখেছেন ১৯৫৬ সালে। সমান গোল আছে ব্রাজিলের জিজিনিওর। ২০০২ সালে পরপারে পাড়ি জমানো এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার জাতীয় দলের হয়ে ক্যারিয়ার শেষ করেছেন ১৯৫৭ সালে।
সমসাময়িক প্রজন্মের মধ্যে ১৪ গোল করে তালিকার পাঁচ এবং ছয় নম্বরে আছেন যথাক্রমে পেরুর পাওলো গুরেরো এবং চিলির এদোয়ার্দো ভারগাস। তালিকায় ১০ নম্বরে থাকা মেসির গোল সংখ্যা ১৩। সমান গোল নিয়ে অস্টম স্থানে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা। অর্থাৎ মাত্র একটা গোল পেলেই তাকে পেছনে ফেলার সুযোগ থাকছে লিটল ম্যাজিশিয়ানের।
অবশ্য এরই মধ্যে কোপা আমেরিকায় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েছেন লিওনেল মেসি। চলতি আসরে তিন ম্যাচ মাঠে নেমে তার এই সংখ্যাটা এখন ৩৭। এর আগে যে রেকর্ডটি ছিলো চিলির গোলকিপার সার্জিও লিভিংস্টোনের। কোপার সর্বোচ্চ আট আসর খেলার মালিক ইকুয়েডরের অ্যালেক্স অ্যাগুইনাগা। আর এবারের আসর নিয়ে মেসির এই সংখ্যাটা ৭।