বয়স সবে ১৬। এরইমধ্যে ফুটবল রেকর্ডের পাতাকে লন্ডভন্ড করে দিয়েছেন লামিন ইয়ামাল। চলমান ইউরোয় দর্শকদের এক রকম বাধ্য করছেন তার ওপর থেকে নজর না সরাতে। স্পেনের জার্সি গায়ে প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সবচেয়ে কম বয়সে ইউরোতে অভিষেকের রেকর্ড গড়েছেন স্প্যানিশ এই উদীয়মান। টিএনজার হিসেবে এক ইউরোতে গড়েছেন সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট করার নজির। তাকে আরও রেকর্ড ডাকছে।
ইউরোয় অভিষেক হওয়া সবচেয়ে কম বয়সি ফুটবলার এবং সবচেয়ে কম বয়সি হিসেবে গোলে সহায়তাকারী ইয়ামাল। এই আসরে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে নিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমে ভেঙেছেন পোল্যান্ডের সাবেক ফুটবলার কজলভস্কির রেকর্ড। ২০২১ ইউরোতে তার অভিষেক হয়েছিল ১৭ বছর ২৪৬ দিন বয়সে।
জাতীয় দলের হয়ে ২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বরে প্রথম গোল করেন ইয়ামাল। এর মাধ্যমে স্পেনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সি হিসেবে গোলদাতা হওয়ার নজির গড়েন তিনি। তখন তার বয়স ছিল ১৬ বছর ২ মাস ২৬ দিন।
ইউরোতে এরইমধ্যে ৫টি ম্যাচ খেলে ফেললেও এখনও গোল জুটেনি ইয়ামালের ভাগ্যে। এর আগে ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনার জার্সিতে ১৬ বছর ২ মাস বয়সে গোলের রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এর মাধ্যমে বার্সার সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হন তিনি।
চলমান আসরে গোলের দেখা পেলেই তিনি হবেন ইউরোর ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা। বর্তমানে যে রেকর্ডের মালিক সুইজারল্যন্ডের ফুটবলার ইয়োহান ভলনানথেন। তিনি ২০০৪ সালে ১৮ বছর ১৪০ দিন বয়সে গোল করেছিলেন তিনি।
১০ জুলাইয়ের সেমি ফাইনালে ইয়ামালের দল স্পেন যদি ফ্রান্সকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে, তবে তিনি হবেন ফাইনালে উঠা সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার। একইসঙ্গে ইয়ামালের পা যদি ফাইনালে গোলপোস্টের জাল খুঁজে পায়, তবে তিনিই হবেন ইউরোর ফাইনালে গোল করা সবচয়ে কম বয়সি।