২০১৪ বিশ্বকাপের পর সার্জিও রোমেরো ছন্দ হারালে গোলরক্ষকদের ফর্ম নিয়ে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। ২০১৮ বিশ্বকাপে ভরাডুবির জন্য তো অনেকাংশে গোলরক্ষকরাই দায়ী। এই সময়ে অনেক গোলরক্ষক এসেছেন, কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টেছে এমিলিয়ানো মার্টিনেজের আগমনের পর। কাতার বিশ্বকাপ জেতায় বড় অবদান তার, চলতি কোপাতেও এই ৩১ বছর বয়সি দেখাচ্ছেন ‘অমানবিক’ পারফরম্যান্স।
কাতার বিশ্বকাপে ওপেন প্লেতে মার্টিনেজের পারফরম্যান্স ছিল ঐশ্বরিক। ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে সাক্ষাৎ হারের মুখ থেকে বাঁচান তিনি। টাইব্রেকারেও বেশ কয়েকটি শট ঠেকিয়ে দেন। ধীরে ধীরে গোলপোস্টের নিচে নিজেকে আরও নিঁখুত করেছেন এই আর্জেন্টাইন।
মার্টিনেজকে এখন বলা হয় পেনাল্টি মনস্টার। পেনাল্টিতে গোলপোস্টের নিচে এই মুহূর্তে তার চেয়ে ভালো কেউ আছেন কিনা, তা ভাবার বিষয়। এই কোপা আমেরিকায়ও তার নৈপুণ্য প্রদর্শন চলছে। কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ২টি সেভ করে দলকে সেমিফাইনালে তুলেন তিনি। এমন একজনের প্রশংসা না করে পারা যায়?
চতুর্দিকেই মার্টিনেজের প্রশংসা চলছে। সতীর্থ ম্যাক অ্যালিস্টার যেন এক কাঠি সরেস। প্রশংসাবাণে আকাশে উঠাতে গিয়ে এমিলিয়ানোকে ‘পশু’ বলেই সম্বোধন করেছেন তিনি। অ্যালিস্টার বলেন, ‘দিবু (মার্টিনেজ) একটা পশু। এখানে আর কিছু বলার নেই। অনেক দিন ধরেই ও দেখাচ্ছে (নৈপুণ্য)। মাঠ ও মাঠের বাইরে দারুণ একটা চরিত্র।’
মার্টিনেজ শুধু পেনাল্টিতে নন, গোলপোস্টের নিচেও নির্ভরযোগ্য এক নাম। সেটা নিশ্চয়ই আর্জিন্টনার জন্য বড় স্বস্তির জায়গা। অ্যালিস্টারও বললেন, ‘আমরা স্বস্তিতে থাকি, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’