সপ্তাহে ছয় কর্মদিবসের নিয়ম চালু করেছে গ্রিস। চলতি জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে দেশটির দক্ষ কর্মীর সংকট পূরণ এবং উৎপাদন বাড়ানোর জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, ধীরে ধীরে গোটা ইউরোপ যখন কর্মদিবস ৪ দিন করার দিকে ঝুঁকছে, তখন গ্রিস সরকার কর্মদিবস বাড়িয়ে ৬ দিন করার নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। কর্মদিবসের নতুন সিদ্ধান্তের পরই এর দেশজুড়ে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিচোতাকিস বলেন, দেশটিতে গত কয়েক বছর ধরে তুলনামূলকভাবে কমছে জনসংখ্যা। এতে দেখা দিয়েছে দক্ষ কর্মীর অভাব। নতুন কর্মদিবসের কারণে বেতনবহির্ভূত ওভারটাইম এবং অঘোষিত শ্রম ঘণ্টার সংকট লাঘব হবে মনে করেন তিনি।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা কাজ করতে হবে; যা আগে ছিল ৪০ ঘণ্টা। এতে উৎপাদনশীলতাও আগের তুলনায় বাড়বে।
এছাড়াও নতুন সিদ্ধান্তে কর্মচারীদের প্রতিদিন ২ ঘণ্টা বাড়তি কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তবে পর্যটন এবং খাদ্য সেবা খাতের কর্মীদের জন্য এ নতুন নিয়ম কার্যকর হবে না।
দেশটির বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন সরকারের নতুন সিদ্ধান্তকে ‘গ্রিস বর্বরোচিত’ সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
গবেষকরা বলেন, কাজে মনোযোগ এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে ৪ দিনের কর্মদিবসের নিয়মই কার্যকরী।
২০২২ সালে, বেলজিয়ামে ৫ দিনের পরিবর্তে ৪ কর্মদিবস কাজের আইনি অধিকার দেয়া হয়। সেসময় একইভাবে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, কানাডা, জাপান এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতেও ৪ কর্মদিবসের নিয়ম চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়।