Homeআন্তর্জাতিকযে কারণে ভরাডুবি কনজারভেটিভ পার্টির

যে কারণে ভরাডুবি কনজারভেটিভ পার্টির

১৪ বছর যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় থাকার পর এবারের নির্বাচনে ভূমিধস পরাজয় হয়েছে কনজারভেটিভ পার্টির। বিরোধীদল লেবার পার্টির কাছে এমন ঐতিহাসিক হারের পর প্রশ্ন উঠেছে ঋষি সুনাকের নেতৃত্ব নিয়ে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, টোরি দলের এই শোচনীয় অবস্থা অকারণে হয়নি। অর্থনৈতিক স্থবিরতা, স্বাস্থ্য ও আবাসন খাতে সংকট, জীবনযাত্রার ব্যয় এবং অভিবাসনের মত ইস্যু নিয়ে সমস্যায় জর্জরিত ছিল দলটি। এছাড়া কনজারভেটিভ পার্টির অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেও জনগণের কাছে প্রথম পছন্দ হয়ে ওঠে লেবার পার্টি।

২০১০ থেকে ২০২৪। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় ছিল কনজারভেটিভ পার্টি। তবে এবারের নির্বাচনে হারের তিক্ত স্বাদ পেল দলটি। ভোটের মাঠে ভরাডুবি হয়েছে কেয়ার স্টারমারের লেবার পার্টির কাছে। কী কারণে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে এই পালাবদল, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

গেল মে মাসের শেষ দিকে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন ঋষি সুনাক। মূলত তখনই টোরি দলের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। কনজারভেটিভ পার্টির বিদায় ঘণ্টা শুনতে পাচ্ছিলেন অনেকে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ব্রিটেনের অর্থনৈতিক স্থবিরতা, স্বাস্থ্য, আবাসন সংকট, জীবনযাত্রার ব্যয়, অভিবাসন ও বৈদেশিক নীতির মতো বিষয়গুলো সুনাকের ভরাডুবির অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন তারা

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর দলকে ভোট দিয়ে জেতানোর জন্য প্রচার করেননি সুনাক। এর পরিবর্তে লেবার পার্টি পার্লামেন্টে এলে কী ধরনের বিপদ হতে পারে, তা নিয়েই ছিলেন সরব। অভিযোগ করেন, লেবার পার্টি কর বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করা এবং ভূরাজনৈতিক উদ্বেগের এই মুহূর্তে যুক্তরাজ্যকে আরও ঝুঁকিতে ফেলে দেবে। যদিও সুনাকের এমন কৌশল কোনো কাজে আসেনি।

সুনাক ক্ষমতায় থাকার সময় চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ মূল্যস্ফীতির সম্মুখীন হতে হয় ব্রিটেনকে। যদিও দেশের অর্থনীতির টালমাটাল সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে কিছুটা স্থিতিশীলতা আনতে সক্ষম হন তিনি।

যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই কিছু আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ঋষি সুনাক। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই নীতিকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে, লেবার পার্টি প্রতিশ্রুতি দেয় তারা ক্ষমতায় এলে এই পরিকল্পনা বাতিল করা হবে।

কেয়ার স্টারমার লেবার পার্টির ইশতেহারের ওপর ভিত্তি করে জনগণকে বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। জানান, ক্ষমতায় এলে তাদের নীতি হবে ‘ব্যবসায়ীপন্থি এবং কর্মীবান্ধব’। দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনারও প্রতিশ্রুতি দেয় তার দল।

Exit mobile version