ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সংস্কারপন্থি পার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান জয়লাভ করেছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে শনিবার (৬ জুলাই) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে পেজেশকিয়ান এক কোটি ৬৩ লাখ এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাইদ জালিলি এক কোটি ৩৫ লাখ ভোট পেয়েছেন বলে দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।
চলতি বছরের মে মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তার মৃত্যুর পর ইরানে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘোষণা করা হয়। এই জয়ের মধ্যে দিয়ে ইব্রাহিম রাইসির স্থলাভিষিক্ত হলেন পেজেশকিয়ান।
কট্টরপন্থিদের ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণার মাঝে নারীর অধিকার, অধিক সামাজিক স্বাধীনতা, পশ্চিমের সঙ্গে বৈরিতায় সতর্কতা ও অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন সংস্কারপন্থি মাসুদ পেজেশকিয়ান।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় ৪৯ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ছিল।
গত শুক্রবার (২৮ জুন) অনুষ্ঠিত হয় প্রথম ধাপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তবে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল অনেক কম। ৬ কোটি ১০ লাখ ভোটারের মধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ ভোট দেন।
প্রথম দফার ভোটে ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন মাসুদ পেজেশকিয়ান। অন্যদিকে সাঈদ জলিলি পান ৪০ শতাংশ। তেহরানের রক্ষণশীল সাবেক মেয়র মোহাম্মদ বাগের গালিবাফ ১৪.৪ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন।
কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় ভোট দ্বিতীয় দফায় গড়ায়। দ্বিতীয় দফার ভোটে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান ও রক্ষণশীল প্রার্থী সাইদ জলিলি। অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার বলেছেন, প্রথম রাউন্ডের তুলনায় দ্বিতীয় দফায় ভোটার উপস্থিতি বেশি।
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের বয়স ৬৯ বছর। তিনি হৃদ্রোগবিষয়ক সার্জন। ইরানের পার্লামেন্টে ২০০৮ সাল থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। ইরানের প্রধান সংস্কারপন্থি জোট তাকে সমর্থন দিয়েছে। সাবেক দুই সংস্কারপন্থি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি ও হাসান রুহানিরও সমর্থন পেয়েছেন তিনি।