শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি।।
প্রায় দুই মাস পর নিজের দায়িত্ব ফিরে পেলেন বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার মেয়র জানে আলম খোকা ও ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফিরোজ আহমেদ জুয়েল। দুর্নীতির অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় গত ১২ মে তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। হাই কোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে তাদেরকে স্বপদে বহাল রাখার আদেশ দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গত ৩ জুলাই স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব আব্দুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেওয়া হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শেরপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়জুল ইসলাম। মন্ত্রণালয়ের আদেশের প্রেক্ষিতে ৪ জুলাই বেলা সাগে ১২ টায় পৌর মেয়েরর দায়িত্ব গ্রহণ করেন জানে আলম খোকা। সাথে ফিরোজ আহমেদ জুয়েলও দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এসময় পৌরসভার কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, শেরপুর পৌরসভার সান্যালপাড়া এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হক লুলু ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। সেখানে তিনি পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে ২১টি বিষয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয় তুলে ধরেন। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে কিছু অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে গত ১২ মে তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্যানেল মেয়র নাজমুল আলম খোকনকে ভারপ্রাপ্ত মেয়েরর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে ধুনট মোড়ে দোকানঘর বরাদ্দ ও জমি লিজের ৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরোজ মুজিব ও ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফিরোজ উদ্দীন আহমেদ জুয়েলকেও সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
জানে আলম খোকা ও ফিরোজ উদ্দীন আহমেদ জুয়েলের হাই কোর্টে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত রাখে আদালত। সেই সাথে তাদেরকে দায়িত্ব পালনের ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে এই প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়।
দায়িত্ব গ্রহণ করার পর পৌর মেয়র জানে আলম খোকা বলেন, পৌর নাগরিকগণ আমাকে বিপুল ভোট নির্বাচিত করে মেয়রের দায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। মহামান্য হাইকোর্টের আদেশে আমি আবার ফিরে এসেছি। জনগণকে সাথে নিয়েই সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হবে।”