ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২১ জনে পৌঁছেছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দায়ের হয়েছে এফআইআর। কিন্তু সেখানে স্বঘোষিত ধর্মগুরু সুরজ পাল ওরফে ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ হরির নাম নেই বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
প্রতিবেদন মতে, এফআইআরে ভোলে বাবার ‘মুখ্য সর্দার’ অর্থাৎ ঘনিষ্ঠ সহকারীর নাম রয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, অনুমতি নেয়ার সময় আয়োজকরা ওই ‘সৎসঙ্গ’ বা সভায় উপস্থিত প্রকৃত মানুষের সংখ্যা লুকিয়েছিলেন।
এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্মীয় ওই আয়োজনে ৮০ হাজার মানুষ জড়ো হবে বলে অনুমতি নেয়া হয়েছিল। কিন্তু জমায়েত ছিল আড়াই লাখের বেশি মানুষের।
অভিযোগ রয়েছে, আয়োজকরা ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্টে যেমন সহযোগিতা করেননি তেমনই পদপিষ্টের ঘটনার পরে প্রমাণ মুছে ফেলার চেষ্টাও করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, অনুষ্ঠান শেষ হলে একদল বেরিয়ে যেতে চান। তবে অন্য একদল মানুষ উল্টো স্রোতে হেঁটে এগিয়ে যান ভোলে বাবার ‘পায়ের ধুলা’ নিতে। এতেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। আর তাতেই ঘটে যায় প্রাণহানি।
নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে এরইমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মৃতদের পরিবারকে ২ লাখ রুপি করে এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য জনপ্রতি ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এদিকে ভোলে বাবার এখনও কোনো সন্ধান মেলেনি বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। তবে এই পরিস্থিতির জন্য ভোলে বাবাকে দায়ী করছেন না আক্রান্তদের পরিবারের কেউ কেউ।
পদপিষ্ট হয়ে মারা গেছেন কারপুরী চান্দ। তারই পরিবারের এক সদস্য সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘যেখানে নারীরা বসেছিলেন, সেখানেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমিও ওখানে ছিলাম। তদন্ত করে দেখা হোক এর জন্য কে দায়ী। কিন্তু আমি মনে করি না এতে বাবার কোনো দোষ আছে।’