১১ লাখ টাকার ডিম বিক্রির হিসাব দেখাতে না পারায় রাজধানীর কাপ্তান বাজারে এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সংস্থাটির দাবি, অভিযান আর হুঁশিয়ারিতে ব্যবসায়ীরা ঠিক না হলে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন তারা।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কাপ্তান বাজারে অভিযান পরিচালনা করে সংস্থাটি। ডিমের বাজারে কারসাজির অভিযোগে মুখ ফুটে সরাসরি কথা বলেছেন খোদ জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। মঙ্গলবার (২ জুলাই) ডিম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জানিয়েছিলেন, অধিদফতরের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে- ঢাকা থেকে মোবাইলে ক্ষুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ হয় দেশের ডিমের বাজার। অসাধু ব্যবসায়ীদের এই কারসাজিতে বারবার ডিমের দাম বেড়ে যায়। তাই যে কোনো মূল্যে এই সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। জানান, এক্ষেত্রে আছে উপর মহলেরও গ্রিন সিগন্যাল।
এত হুঁশিয়ারির পরও যেন নাকে তেল দিয়ে ঘুমান ব্যবসায়ীরা। ডিমের বাজার ঘুরে দেখা যায় নানা অনিয়ম। রাজধানীর কাপ্তান বাজারে এসময় চোখে পড়ে ২ লাখ ২৬ হাজার ডিমের ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স জাহিরুল ট্রেডার্সের। তবে ১ লাখ ডিম বিক্রির রসিদই দেখাতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি, যার বাজারমূল্য প্রায় ১১ লাখ টাকা। কাপ্তান বাজারে এই ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
এসময় কাপ্তান বাজার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান দোষ স্বীকার করে বলেন, নিয়ম মানার ক্ষেত্রে গাফিলতি থাকলেও, আলাদা করে ডিম কারসাজির সঙ্গে জড়িত নন ব্যবসায়ীরা।
অভিযান শেষে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, অভিযান আর হুঁশিয়ারিতে ব্যবসায়ীরা নিয়ন্ত্রণে না আসলে, আরও কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে অধিদফতরের পক্ষ থেকে।
দেশে দৈনিক ডিমের চাহিদা সাড়ে ৩ কোটি পিস। তবে দাম পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে বলে জানায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।