২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই শিরোপা জিতেছিল ভারত। বিশ্বকাপজয়ী সেই দলের সদস্য ছিলেন ২০ বছর বয়সী রোহিত শর্মা। ১৭ বছর পর ভারতের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ে কাণ্ডারির ভূমিকায় রোহিত। মাঝখানে হয়ে যাওয়া বাকি সাতটি আসরেও ছিলেন তিনি। সবকয়টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা রোহিত শর্মা এবার বিদায় জানালেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে।
শনিবার (২৯ জুন) ব্রিজটাউনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। ভারতকে নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বকাপ জেতানোর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন রোহিত শর্মা।
টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে এক সময় মনে হচ্ছিল হেরেই যাবে ভারত। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়া ১৭তম ওভারে ক্লাসেনকে বিদায় করে ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়ে দেন। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায়ের ঘোষণা দেন রোহিত। তবে ওয়ানডে ও টেস্টে খেলা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে রোহিত বলেন, ‘এটাই আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এই ফরম্যাটকে বিদায় জানানোর জন্য এটাই সেরা সময়। আমি এর প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি। আমি এই ফরম্যাট দিয়েই ভারতের হয়ে খেলা শুরু করেছিলাম। এটাই আমি চেয়েছিলাম, আমি কাপ জিততে চেয়েছিলাম।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমি এটা (শিরোপা জিততে) খুব করে চেয়েছি।এটা ভাষায় বর্ণনা করা খুবই কঠিন। এটা আমার জন্য খুবই আবেগপূর্ণ মুহূর্ত। আমি আমার জীবনে এই টাইটেলটি জেতার জন্য মরিয়া ছিলাম। সুখী অনুভব করছি আমরা লাইনটা অতিক্রম করতে পারায়।’
১৫৯ ম্যাচে ৪২৩১ রান নিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবেই এই ফরম্যাট থেকে বিদায় নিচ্ছেন রোহিত। এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ পাঁচটি সেঞ্চুরির মালিকও তিনিই। দুইবার হয়েছেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।
এবারের আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক হিসেবেই শেষ করেছেন রোহিত। ১৫৬.৭০ স্ট্রাইক রেটে ২৫৭ রান করেছেন তিনি। প্রতি ম্যাচেই দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেয়ার দায়িত্ব দারুণভাবে পালন করেছেন রোহিত। সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯১ রান করে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও হাঁকিয়েছেন অর্ধশতক।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক রোহিত। সর্বাধিক ৪৭ ম্যাচের ৪৪ ইনিংসে ৩৪.৮৫ গড় এবং ১৩৩.০৪ স্ট্রাইক রেটে ১২২০ রান করেছেন তিনি। নামের পাশে আছে ১২টি অর্ধশতক।