জাসপ্রিত বুমরাহকে নিয়ে ওয়াসিম জাফর একবার বলেছিলেন, ফরম্যাট, কন্ডিশন, প্রতিপক্ষ, পাওয়ার প্লে, মিডলওভার, ডেথওভার কিছুই ম্যাটার করে না তার কাছে। সব পরিস্থিতিতেই ভালো করার মাল-মশলা আছে ভারতীয় পেসারের মধ্যে।
জাফরের কথার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করার মতো কাউকে কি খুঁজে পাওয়া যাবে? নির্ধিদ্বায় ‘না’-ই বলা যায়, এতটাই নিখুঁত ৩০ বছর বয়সী পেসার। যেন লাইন-লেন্থ মেপে মেপে বল করেন তিনি। সিম মুভমেন্ট, সুইং, বাউন্সার তো আছেই। বুমরাহ দারুণ বোলিংয়ের পুরস্কার পেলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টুর্নামেন্টসেরা হয়ে।
এবারের বিশ্বকাপে বুমরাহ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হননি। ১৭টি করে উইকেট নেয়া ফজলহক ফারুকী ও আর্শদীপ সিংয়ের চেয়েও ২টি উইকেট কম তার। তাও কেন বুমরাহ টুর্নামেন্টসেরা হলেন? কারণ ভারতের শিরোপা জেতায় যথেষ্ট প্রভাব রেখেছেন তিনি, বা বলা যায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব। তার ছোটখাটো প্রমাণ পাওয়া যায় বুমরাহর বোলিং ইকোনমির দিকে তাকালে। এই বিশ্বকাপে ওভারপ্রতি ৪.১৭ করে রান দিয়েছেন তিনি। যা কমপক্ষে ৫ ম্যাচ খেলাদের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বুমরাহ দ্বিতীয় পেসার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টুর্নামেন্টসেরা হয়েছেন। ২০২২ সালের আসরে প্রথম পেসার হিসেবে স্যাম কারেন তা ঝুলিতে পুড়েন। একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে দুইবার টুর্নামেন্টসেরা হয়েছেন বিরাট কোহলি। শহীদ আফ্রিদি, তিলকারত্নে দিলশান, কেভিন পিটারসেন, শেন ওয়াটসন ও ডেভিড ওয়ার্নার টুর্নামেন্টসেরা হয়েছেন একবার করে।