বিয়ের পোশাক থেকে শুরু করে গালিগালাজ — সবকিছু কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে উত্তর কোরিয়া। তাদের উদ্দেশ্য বিদেশি সংস্কৃতি বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রভাব থেকে নিজের দেশকে মুক্ত করা।
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপের বরাত দিয়ে বিবিসি একথা জানায়। উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে আসা শত শত মানুষের তথ্য অনুযায়ী ইয়োনহাপ এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে সিউল। ইয়োনহাপ জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার ৭০টি গান শোনানো ছাড়াও ৩টি চলচ্চিত্র দেখা ও শেয়ার করার জন্য ২২ বছরের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দেয় উত্তর কোরিয়া।
বিবিসি গত বছর জানিয়েছিল, পিয়ংইয়ংয়ের প্রতিক্রিয়াশীল মতাদর্শ এবং সংস্কৃতি প্রত্যাখ্যানের জন্য আইনের অধীনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার এটিই প্রথম ঘটনা বলে মনে করা হয়।
তবে এ প্রতিবেদনটিকে বানোয়াট ও মিথ্যা বলে দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া।
সংগৃহীত তথ্য অনুসারে, ২০২১ সাল থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনুসন্ধান চালানো শুরু করেছে উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা। ইয়োনহাপ জানায়, উত্তর কোরিয়ায় বিয়েসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিদেশি সংস্কৃতির ছোয়াঁ আছে কিনা, তা খুঁজে দেখেন তারা। উদাহরণস্বরূপ বিয়ের সময় অনেক বর-কনে দক্ষিণ কোরিয়ার সাদা পোশাক পছন্দ করেন। এছাড়া লোকজন বিদেশি ভাষায় গালিগালাজ করছে কিনা, তা জানতে তাদের ফোনকল রেকর্ড করা হয়।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সানগ্লাস পরেন; তারপরও দেশটিতে সানগ্লাসকে বিপ্লববিরোধী পণ্য হিসেবে গণ্য করা হয়। উনের বাবা কিম জং ইলের মেয়াদে জিন্সসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু জিনিসকে বিপ্লববিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করে সেগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।