ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় বন্দি ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে ইসরাইলে ব্যাপক বিক্ষোভ চালাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। শনিবার (৩০ জুন) ইসরাইলের তেল আবিবে লাখ লাখ মানুষ এ বিক্ষোভে অংশ নেয়।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার ইসরাইলের তেল আবিবে বিক্ষোভের সময় দেশটির জিম্মিদের জীবন রক্ষা এবং এ নিয়ে হামাসের সঙ্গে চুক্তির দাবি জানায় বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা দেশটিতে আগাম নির্বাচনেরও দাবি জানায়।
এদিকে লেবাননে অবস্থানরত হামাস নেতা ওসামা হামদান সাংবাদিকদের দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি।’
গাজায় টানা ৯ মাস ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধে যেকোনো প্রস্তাব নিয়ে হামাস আলোচনায় প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন হামদান। তিনি বলেন, ‘স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং বন্দী বিনিময় সমঝোতা নিশ্চিত করবে—এমন যেকোনো ধরনের প্রস্তাব ইতিবাচকভাবে নিতে আবারও প্রস্তুত রয়েছে হামাস।’
এ সময় তিনি ইসরাইলের শর্ত মেনে নিতে হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন। আর মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন কোনো প্রস্তাব পায়নি জানান তিনি।
অন্যদিকে ইসরাইলের পক্ষ থেকে হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত কেবল সাময়িক যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে ।
যুক্তরাষ্ট্রসহ আরব মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো এখন পর্যন্ত হামাস-ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে এক করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অচলাবস্থার জন্য ইসরাইল ও হামাস একে অপরকে দায়ী করছে।
হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করতে মিসরের গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া।