ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরতায় বিপর্যস্ত গাজাবাসীর জীবন। এবার একদিনের মধ্যে উপত্যকাটির পূর্বাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চল থেকে বাস্ত্যুচ্যুত করা হয়েছে কমপক্ষে ৬০ হাজার ফিলিস্তিনিকে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার গাজার শুজাইয়া এলাকায় স্থল অভিযান শুরু করে ইসরাইল। এতে গাজা শহরের পূর্বাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার বাসিন্দা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
সাধারণ জনগণকে অবিলম্বে শুজাইয়া এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম বিষয়ক সমন্বয় দফতর (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় ১৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৩৩১ জন।
এদিকে মধ্য গাজায় বুরেজ শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বিমান হামালায় ৩ চিকিৎসক নিহতসহ আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি।
এ ছাড়া দেইর আল বালাহ শহরের দুটি আবাসিক ভবনে দখলদার বাহিনীর হামলায় প্রাণ গেছে কয়েকজনের। নেতানিয়াহু বাহিনী হামলা চালিয়েছে উপত্যকাটির মাগাজি শরণার্থী শিবির ও ইয়ারমুক এলাকার একটি আবাসিক ভবনেও।
অন্যদিকে পাল্টা হামলা অব্যাহত রেখেছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র বাহিনী আল কুদস ব্রিগেড যোদ্ধারা। শুজাইয়া এলাকায় আল কুদস ব্রিগেডের হামলায় চার ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হন বেশ কয়েকজন।
হামাস জানিয়েছে, ছোট ছোট অস্ত্রের সাহায্যে তারা অতর্কিত হামলা করে ইসরাইলি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রায় নয় মাস ধরে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় বিপর্যস্ত উপত্যকার লাখো মানুষের জীবন। নেই প্রয়োজনীয় খাবার, পানি। জ্বালানি আর ওষুধের অভাবে বন্ধ হওয়া হাসপাতালগুলোই যেন বলে দেয় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবাও এক প্রকার অনিশ্চিত এখানে। উপত্যকাটির এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ক্রমশই ছুটে চলতে চলতে ক্লান্ত বিষণ্ন এসব মানুষ জানেন না কবে থামবে এই বর্বরতা।
গত বছরের অক্টোবরে গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলা শুরু পর থেকে এ পর্যন্ত উপত্যকাটির ৭৮ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর আগে গাজায় ২৩ লাখ মানুষের বসবাস ছিল।