Homeআন্তর্জাতিকধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনকে ‘চরম পক্ষপাতদুষ্ট’ বলল ভারত

ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনকে ‘চরম পক্ষপাতদুষ্ট’ বলল ভারত

ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ করা একটি প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই প্রতিবেদনকে ‘চরম পক্ষপাতদুষ্ট’ আখ্যা দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ভারতের সামাজিক সমীকরণ সঠিকভাবে বোঝার অভাব প্রতিবেদনে ফুটে উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৈরি ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় বুধবার (২৬ জুন)। প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, গাজা যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রেও ইহুদি ও মুসলিমবিদ্বেষ ব্যাপকভাবে বেড়েছে।

ভারতের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, ভারতে সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের সদস্যদের জন্য ধর্মান্তরবিরোধী আইন, ভিন্ন ধর্মের মানুষের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য, বাড়িঘর ও উপাসনালয় ধ্বংস অনেক বেড়েছে।’

এসব ঘটনার সঙ্গে ভারতের পুলিশের সংশ্লিষ্টতাকেও দায়ী করেছেন আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ রাশাদ হুসাইন। তিনি বলেন, ভারতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায় জানিয়েছে যে, ধর্মান্তরের অভিযোগ এনে তাদের প্রার্থনায় বাধা দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। আর বিক্ষুব্ধ সেই জনতাকে সহায়তা করেছে স্থানীয় পুলিশ।

এ বিষয়ে শুক্রবার (২৮ জুন) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, মার্কিন প্রতিবেদনটি আমাদের গোচরে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই, অতীতের মতো এই প্রতিবেদনটিও গভীরভাবে পক্ষপাতদুষ্ট এবং এখানে ভারতের সামাজিক সমীকরণ বোঝার অভাব রয়েছে।

তিনি বলেন, দৃশ্যতই সেদেশের ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির দিকে তাকিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি হয়েছে, একটা চাপিয়ে দেয়ার মানসিকতা থেকে তৈরি হয়েছে। আমরা এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছি।

তবে আমেরিকার ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির কথা বললেও আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গে কীভাবে ভারতের ধর্মীয় সহিষ্ণুতা সংযুক্ত, তার কোনো স্পষ্ট উত্তর ব্যাখ্যা দেননি জয়সওয়াল।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে পক্ষপাতদুষ্ট উৎসের উপর নির্ভর করে এবং এমন অভিযোগগুলো এমনভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যা পুরোপুরি একপেশে।

Exit mobile version