রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়ায় প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এ হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছে দেশটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, ওয়াশিংটনকে সময়মতো এর খেসারত দিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
এদিকে হামলার ঘটনায় মস্কোতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে পুতিন প্রশাসন। শুধু তাই নয়, রুশ বেসামরিক নাগরিক হত্যার জেরে গোটা ন্যাটোকে মূল্য দিতে হবে বলে কড়াবার্তা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এরমধ্যেই বাল্টিক সাগরে আবারও মহড়া শুরু করেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো।
ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সবচেয়ে বড় শহর সেভাস্তোপোল। রোববার (২৩ জুন) এ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইউক্রেন। এতে দুই শিশুসহ অন্তত চারজন রুশ বেসামরিক নিহত এবং ১৫১ জন বেসামরিক আহত হয়।
এ ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের দাবি, কিয়েভকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত দূরপাল্লার আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ক্রিমিয়ায় এ হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। মস্কো বলছে, ওয়াশিংটনের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের জেরে রুশ নাগরিকদের প্রাণ দিতে হচ্ছে।
প্রাণঘাতী হামলার জেরে মস্কোতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রদূতকে ডেকে বলা হয়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ‘হাইব্রিড যুদ্ধ’ চালাচ্ছে। পাশাপাশি ওয়াশিংটনকে এর পরিণাম ভোগ করতে হবে বলে সরাসরি হুমকি দেয় মস্কো।
চলতি সপ্তাহেই চলমান ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরেও, রাশিয়ার যে কোনো জায়গায় মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানোর জন্য ইউক্রেনকে অনুমতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যেই ক্রিমিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনীয় হামলার ঘটনা ঘটে।