দেশের বাজারে সবশেষ দশবার দাম সমন্বয়ের মধ্যে ৭ বারই স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। আর সবশেষ টানা দুই দফায় ভরিতে মোট দাম বাড়ানো হয়েছে ২ হাজার ৪৭৩ টাকা।
সবশেষ মঙ্গলবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে টানা দ্বিতীয় দফা স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাজুস। এবার ভরিতে ১ হাজার ৪০০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের একভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি। বুধবার (২৬ জুন) থেকে কার্যকর হবে এ দাম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৫ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৯৭৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ৮৩৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮০ হাজার ৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ১১ জুন ভরিতে ১ হাজার ৭৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৫৫ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১১ হাজার ৬৩৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ৬৯১ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৯ হাজার ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ২৯ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ১৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১৪ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।