ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার মধ্যেই বিক্ষোভ করেছে বিরোধী দল ইন্ডিয়া জোট। সোমবার (২৪ জুন) প্রো-টেম স্পিকার নিয়োগের বিরোধিতা করে সংসদে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির সামনে বিক্ষোভ করেন জোটের নেতারা। এ সময় হাতে সংসদের কপি উঁচিয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের।
বিক্ষোভকারী নেতাদের ‘গণতন্ত্রের অভিভাবক’ অভিহিত করে, কংগ্রেস নেতা কে সি ভেনুগোপাল এক্সে-এ বিক্ষোভের একটি ভিডিও পোস্ট করেন।
ভিডিওতে কংগ্রেস পার্লামেন্টারি পার্টির চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, দলের নেতা রাহুল গান্ধী এবং টিএমসি নেতা মহুয়া মৈত্রকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়।
এ সময় তারা ‘‘আমাদের সংবিধান ‘দীর্ঘজীবী হোক’, ‘দীর্ঘজীবী হোক’ এবং ‘সংবিধান কে বাঁচাবে? আমরা বাঁচাবো, আমরা বাঁচাবো বলে স্লোগান দেন।’’
ভেনুগোপাল ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমরা সংবিধান রক্ষা ও সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের সংকল্পে ঐক্যবদ্ধ। ভারতীয় জোট বাপুর আশীর্বাদ নিয়ে ১৮তম লোকসভায় প্রবেশ করছে এবং সংসদে জনগণের সমস্যা, চ্যালেঞ্জ, আশা ও আকাঙ্ক্ষার কণ্ঠস্বর হয়ে তাদের পাশে থাকার সংকল্প করছে। সরকারকে প্রতিটি মুহূর্তে আমরা নজরদারিতে রাখব ’
বিজেপি নেতা ভার্তৃহরি মাহতাবকে সাময়িকভাবে প্রো-টেম স্পিকার হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় বিক্ষোভ করে ইন্ডিয়া জোট।
বিরোধীদের মতে, রীতি ভেঙে বিজেপি মাহতাবকে প্রো-টেম স্পিকার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। কারণ প্রো-টেম স্পিকার হিসেবে সংসদের সবচেয়ে প্রবীণ সদস্যকে বেছে নেয়ার কথা। সে হিসাবে আট মেয়াদের সদস্য কে সুরেশ, যিনি একজন দলিত নেতা তাকে উপেক্ষা করা হয়েছে।
বিজেপির মাহতাবকে নিয়োগ দেয়ার মধ্যে দিয়ে প্রবীণ সদস্য নিয়োগের ঐতিহ্যগত প্রথা থেকে বিচ্যুত হয়েছে দলটি। এটি একটি প্রতিষ্ঠিত রীতি যে সংসদের প্রবীণতম সদস্যকে প্রো-টেম স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত করা হবে বলেও জানায় কংগ্রেস।
কংগ্রেস সাংসদ মানিকম ঠাকুর বলেন, ‘এই সরকারের মনোভাব এখনো উদ্ধত। তারা একজন আট মেয়াদের দলিত সংসদ সদস্যকে বাদ দিয়ে মাহতাবকে নিয়োগ দিয়েছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কোনো পরামর্শ ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি দাবি জানান, সুরেশের প্রো-টেম স্পিকার নির্বাচিত হওয়া উচিত।
এদিকে, বিক্ষোভে অংশ নেয়া টিএমসি সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি বলেছেন যে, এতে করে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোইদ সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে । যেভাবে প্রো-টেম স্পিকার নিয়োগ করা হয়েছে তা সাংবিধানিক বিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।