বড় দল, প্রত্যাশা বেশি। সে কারণে ব্রাজিলের কোনোমতে পাওয়া জয় কিংবা ড্রয়ে বোধহয় সমর্থকদের মন ভরে না। শুধু সমর্থক কেন, ব্রাজিল নিজেরাই কি তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি? উত্তর মিলতে পারে নিকট অতীতে তাদের দলগত সাফল্যের দিকে তাকালে। গত দুই দশক ধরে বিশ্বকাপের কোনো ট্রফি নেই ৫ বারের চ্যাম্পিয়নদের, কোপা আমেরিকা মাত্র ৩টা। এই অজর্ন নিয়ে নিশ্চয়ই ব্রাজিলের সন্তুষ্ট থাকার কথা নয়। অসন্তুষ্টি মাথায় নিয়েই আরেকটা টুর্নামেন্ট খেলতে নামছে তারা।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ৭টায় কোস্টারিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে কোপা আমেরিকার যাত্রা শুরু করবে ব্রাজিল। আগের ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ড্র করা ব্রাজিলের জন্য যে এ ম্যাচটি চ্যালেঞ্জের, তা অনুমেয়। তাছাড়া দরিভাল জুনিয়রের দলে নেই সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার জুনিয়র। ইনজুরির কারণে ২০১৯ সালের কোপার পর এবারও খেলতে পারছেন না তিনি।
নেইমার না থাকায় ব্রাজিলের গুরুদায়িত্বটা ভিনিসিউস জুনিয়রের কাঁধে। নেইমারের সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদের এ উইঙ্গারের বেশ কিছু মিলও আছে, দুজনই ব্রাজিলের ঐতিহ্যগত ড্রিবলিংয়ে পারদর্শী। তাদের খেলার পজিশনটা এক না হলেও কাছাকাছিই। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ভিনিকেই ভাবা হচ্ছে নেইমারের উত্তরসূরি। কোপায় তিনি সঙ্গী হিসেবে পাচ্ছেন তারই রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ রদ্রিগোকে।
বিশ্বজুড়ে বড় বড় ক্লাবগুলোতে ব্রাজিলের ফুটবলার, সাফল্যও কম নয়। কিন্তু জাতীয় দলে এসে সবার যেন কী হয়ে যায়- এমন অভিযোগ অধিকাংশের। নাহলে এত এত তারকা নিয়েও সাফল্য অধরা কেন! সদ্যই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে আসা ভিনি-রদ্রিগো ক্লাবের পারফরম্যান্স জাতীয় দলে টেনে নিয়ে ওমন অভিযোগ উড়িয়ে দিতে পারেন কিনা, এখন সেটাই দেখার পালা। গেল মৌসুমে ক্লাবের হয়ে ৪১ গোল আর ২০ অ্যাসিস্টে অবদান এই জুটির।
কোস্টারিকার বিপক্ষে অবশ্য স্বস্তিতে থাকতে পারে পুরো ব্রাজিল দল। দুদলের মধ্যে শক্তিতে আকাশ পাতাল তফাৎ। ব্রাজিল যেখানে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ৪ নম্বরে, ক্যারিবীয়ান অঞ্চলের দেশটি আছে ৫২-তে। তাছাড়া দুদল যে ১১টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে সেখানে ব্রাজিলের জয়ই ১০টি। কোস্টারিকা যে একটি ম্যাচে জিতেছে, সেটি এসেছিল ১৯৬০ সালে।