আগামী মাসে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর। আর তার এই আসন্ন ভাষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে খোদ হোয়াইট হাউজ। তারা আশঙ্কা করছেন, ভাষণে নেতানিয়াহু মাকিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমালোচনা করতে পারেন। এছাড়া গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধে মার্কিন প্রশাসনের নেয়া পদক্ষেপের নিন্দাও জানাতে পারেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার (২২ জুন) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মার্কিন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ডিজিটাল সংবাদপত্র কোম্পানি পলিটিকোকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আগামী মাসে কংগ্রেসে যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে নেতানিয়াহুর। কিন্তু কেউ জানে না, তিনি কী বলবেন সেখানে।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে নেতানিয়াহু একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি ইসরাইলে পাঠানোর অস্ত্র ও গোলাবারুদ আটকে দেয়ার জন্য ওয়াশিংটনের সমালোচনা করেছেন। এই ঘটনাকে তিনি ‘অকল্পনীয়’ বলে অভিহিত করেন।
পলিটিকো আরও জানিয়েছে, কংগ্রেসের সামনে নেতানিয়াহুর বক্তব্য আসন্ন মাকিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একজন প্রার্থী হিসেবে জো বাইডেনকে কূটনৈতিকভাবে জটিলতা ও রাজনৈতিকভাবে বিপদের মুখে ফেলতে পারে।
বাইডেন এখনও নেতানিয়াহুকে আনুষ্ঠানিকভাবে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানাননি। তবে পলিটিকোর সঙ্গে কথা বলা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউজে দুনেতার মুখোমুখি বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে ওয়াশিংটনকে নিয়ে নেতানিয়াহুর দেয়া বিরোধপূর্ণ বক্তব্যে দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। হোয়াইট হাউজ সে বিষয়ে অবগত। তবে এবারের কংগ্রেসে ভাষণ নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে বলেছেন যে, তারা জানেন না কী বিষয়ে কথা বলবেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী। তবে ব্যক্তিগতভাবে বাইডেনের দল নেতানিয়াহুর ‘অকৃতজ্ঞতায়’ ক্ষুব্ধ এবং হতবাক।
যুক্তরাষ্ট্র মে মাসের শুরুতে ইসরাইলে ৩, ৫০০ বোমা পাঠানোর চালান বন্ধ করে দেয়। গাজার রাফাহ শহরে হামলা না চালানোর আহ্বানের মধ্যে এই সরবরাহ স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র মে মাসে ইসরাইলের জন্য ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র হস্তান্তর করে, একই মাসে ওই বোমা সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বাইডেন প্রশাসন।
গত ৭ অক্টোবরে আকস্মিক হামলায় হামাস ১২,০০ জন ইসরাইলিকে হত্যা ও ২০০ জনেরও বেশি জিম্মি করার পর গাজায় হামলা চালানো শুরু করে ইসরাইল। ইসরাইলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গত সপ্তাহে, সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে হিজবুল্লাহ এবং আমেরিকান সৈন্যদের জড়ানোর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় উদ্বেগ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের।