টানা আট মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইল। আর এর জেরে ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে আসছে লেবাননের ইরান সমর্থিত সংগঠন হিজবুল্লাহ। পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনীও। সম্প্রতি হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে হামলার অনুমোদন দিয়েছে তেল আবিব। এই অবস্থায় লেবাননে হামলার বিষয়ে ইসরাইলকে সতর্ক করেছে ইরান।
সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, লেবাননে ইসরাইলে বড় ধরনের হামলার আশঙ্কার মধ্যেই শুক্রবার (২১ জুন) ইরানের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে ইসরাইলকে সতর্ক করা হয়েছে।
বিবৃতিতে ইরান বলেছে, হিজবুল্লাহ নিজেকে এবং লেবাননকে রক্ষা করতে সক্ষম। হুঁশিয়ারি দিয়ে দেশটি বলেছে, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধে ‘চূড়ান্ত পরাজয়’ হবে ইসরাইলের।
সামাজিক মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের মিশন বলেছে, নিজেকে বাঁচাতে দখলদার ইসরাইলের যেকোনো দুরভিসন্ধিমূলক সিদ্ধান্ত এই অঞ্চলকে একটি নতুন যুদ্ধে নিমজ্জিত করতে পারে, যার পরিণতিতে লেবাননের অবকাঠামো এবং সেইসঙ্গে ১৯৪৮ সালের অধিকৃত অঞ্চলগুলোর ধ্বংস হতে পারে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সম্ভাব্য এই যুদ্ধে নিঃসন্দেহে একটি পক্ষের চূড়ান্ত পরাজয় হবে এবং সেটি হবে ইহুদিবাদী ইসরাইলের।হিজবুল্লাহর নিজেকে এবং লেবাননকে রক্ষা করার ক্ষমতা রয়েছে। সম্ভবত এই অবৈধ সরকারের পতনের সময় এসেছে।’
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পরই লেবানন সীমান্তে সংঘাতে জড়িয়েছে হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলি সেনাবাহিনী। চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার (১৮ জুন) ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম হাইফা শহরে হামলার হুমকি দেয় হিজবুল্লাহ। এমনকি তারা একটি পর্যবেক্ষণ ড্রোনও উড়ায়।
এর পরপরই হিজবুল্লাহকে ‘ধ্বংস’ করতে লেবাননে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দেয় তেল আবিব। এতে অনুমোদন দিয়েছেন আইডিএফের নর্দার্ন কমান্ড মেজর জেনারেল ওরি গর্ডিন ও অপারেশন ডিরেক্টরেটের মেজর জেনারেল ওদেদ বাসিউক।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইল ভূখণ্ডে হামাসের হামলার পর তাদের সীমান্তে হিজবুল্লাহর উপস্থিতি সহ্য করবে না তারা।
ইসরাইলের এ হুমকির জবাবে বুধববার এক টেলিভিশন ভাষণে হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরাল্লাহ বলেন, ‘যুদ্ধ শুরু হলে ইসরাইলের কোনো জায়গাই নিরাপদ থাকবে না। হামলা সবখানে হতে পারে।’