জিতলেই শেষ ষোলো, এমন সমীকরণ সামনে রেখে মাঠে নেমে নিরামিষ এক ম্যাচ উপহার দিয়েছে নেদারল্যান্ডস এবং ফ্রান্স। আগের ম্যাচে অস্ট্রিয়ান ডিফেন্ডার কেভিন দানসোর সঙ্গে সংঘর্ষে নাক ভেঙে ফেলা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে বেঞ্চে রেখে এদিন খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ফ্রান্স। ডাচরাও কোনো গোলের দেখা না পাওয়ায় ম্যাচ শেষ হয় গোলশূন্য ড্রয়ে।
শুক্রবার (২১ জুন) রাতে লাইপজিগের রেড বুল অ্যারেনায় মাঠে নেমে এমবাপ্পের অভাবটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে ফরাসিরা। বেশ কিছু ভালো গোলের সুযোগ তৈরি করলেও গোল মিসের মহড়ায় শেষ পর্যন্ত জয়ের দেখা পায়নি তারা। অন্যদিকে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে নেদারল্যান্ডস একটি বল জালে জড়ালেও তা অফসাইডের সংকেতে বাতিল হয়ে যায়। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছেড়েছে দু’দল।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই কয়েকবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা। অতোয়ান গ্রিজম্যান কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করায় তা আর হয়নি। কর্ণার থেকেও বলার মতো কোনো আক্রমণের জন্ম দিতে পারেনি ফ্রান্স।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আরও ভালো সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় ফ্রান্স। গোল পোস্ট থেকে মাত্র কয়েক ইঞ্চি দূরে থাকা গ্রিজম্যান বল পেলেও তার করা সেই কিক ডাচ গোলরক্ষক বার্ট ভারব্রুগেনের পায়ে লেগে কর্ণার হয়ে যায়।
অপরদিকে, দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ডাচরাও। তবে ভাগ্য সহায় হয়নি তাদেরও। জাভি সিমন্স বল জালে জড়ালেও সেটা বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের কারণে। ফলে ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি শেষ হয় গোল শূন্য সমতায়।
কার্যত এই দু’দলের দলের সামনেই সুযোগ ছিল শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত করার। কিন্ত পারল না কেউই। দুই রাউন্ড শেষে একটি করে জয় ও ড্রয়ে সমান ৪ পয়েন্ট ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের। ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে অস্ট্রিয়া। পোলিশরা এখনও পারেনি পয়েন্টের খাতা খুলতে।
গ্রুপের শেষ রাউন্ডে আগামী মঙ্গলবার মাঠে নামবে দুই দল। ফ্রান্স খেলবে পোল্যান্ডের বিপক্ষে আর নেদারল্যান্ডস লড়বে অস্ট্রিয়ার সঙ্গে।