মধ্য এশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত দেশ এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্যতম অঙ্গরাজ্য তাজিকিস্তানে হিজাব নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আইন পাস হয়েছে।
বুধবার (১৯ জুন) দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ মজলিশি মিলিতে সংসদ সদস্যদের ভোটাভুটিতে এ আইন পাস হয়।
তাজিকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এশিয়া প্লাসের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মুসলিম অধ্যুষিত দেশ তাজিকিস্তানে পাস হওয়া নতুন আইনে নারীদের হিজাব নিষিদ্ধের পাশাপাশি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দুই ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহায় স্কুল-কলেজ ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাতিলের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গত ৮ জুন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ মজলিশি নামোইয়ানদাগনে পাস হয়েছিল বিলটি। বুধবার পার্লামেন্টের বিলটি পাসের পর এক মসলিশি মিলির প্রেস সেন্টার থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হিজাব বা ইসলামিক ঐতিহ্যবাহী পোশাক মূলত মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি হয়েছে। এটি তাজিকিস্তানের নিজস্ব সংস্কৃতি নয়।
একইসঙ্গে এ বিলটিতে বলা হয়েছে, কেউ যদি আইন অমান্য করে, তাহলে শাস্তি হিসেবে মোটা অঙ্কের জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
২০০৭ সাল থেকে তাজিকিস্তান দেশটিতে হিজাব, ইসলামি ও পশ্চিমা পোশাকের বিরুদ্ধে প্রচারাভিযান শুরু করেছে। এরপর থেকে হিজাব একপ্রকার অলিখিত নিষিদ্ধ পোশাক ছিল দেশটিতে। স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে তৃণমূল পর্যায়ে কমিটি পর্যন্ত করেছিলেন।
মূলত তাজিকিস্তানের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও পোশাক রীতিকে বাঁচিয়ে রাখতেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে তাজিকিস্তানের জাতীয় দিবসে সরকাররের পক্ষ থেকে দেশটির নারীদের মোবাইলে হিজাব এবং পশ্চিমা পোশাক পরিহার করে তাজিকিস্তানের নিজস্ব সংস্কৃতির পোশাক পরার আহ্বানও জানানো হয়েছিল।