উত্তর কোরিয়ার পর এবার ভিয়েতনামে সফর করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে রাষ্ট্রীয় সফরে তিনি ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে পৌঁছান। তবে পুতিনের এই সফর ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, পুতিনের ভিয়েতনাম সফরের মধ্য দিয়ে মস্কো এবং হ্যানয়ের মধ্যকার সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভিয়েতনাম সফরের আগে বুধবার (১৯ জুন) উত্তর কোরিয়া সফর করেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। এরপর তিনি রাশিয়ার বেশ কয়েকজন শীর্ষ মন্ত্রী এবং ব্যবসায়ীদের একটি বড় প্রতিনিধি দল নিয়ে ভিয়েতনামে সফর করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, ভিয়েতনাম এখনও রাশিয়ার সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্ককে মূল্য দেয়। যদিও এটি ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতেও কাজ করছে।
তবে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ চলাকালীন পুতিনের উত্তর কোরিয়া এবং ভিয়েতনাম সফরের তীব্র সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির দাবি, পুতিনের এই সফর ইউক্রেনে যুদ্ধের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
এদিকে, পুতিনের সফরে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি অংশীদারি চুক্তি সই হয়েছে। রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, দেশ দুটির মধ্যে ১৯৬১, ২০০০ এবং ২০০১ সালে যেসব চুক্তি হয়েছে— নতুন চুক্তিটি সেগুলোর স্থলাভিষিক্ত হবে।
পুতিন জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে একে অপরের সাহায্যে এগিয়ে আসা ছাড়াও রাজনৈতিক, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সাংস্কৃতিক এবং নিরাপত্তা চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তিকে একটি ‘ব্রেক থ্রু’ হিসেবেও অভিহিত করেছেন তিনি। অপরদিকে কিম জং উন এটিকে ‘সন্ধিক্ষণ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।