বছর, মাস, দিন পেরিয়ে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরই মার্কিন মুলুকে পর্দা উঠবে কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসরের। এবারের আসরে এ প্রতিযোগিতার পরিধি আরও বৃহৎ। দক্ষিণ আমেরিকার ১০ দলের পাশাপাশি কোপা আমেরিকায় যুক্ত হয়েছে উত্তর আমেরিকার আরও ৬টি দেশ। মোট ১৬ দলের লড়াইয়ে এবার কোপা আমেরিকার জমজমাট এক আসর দেখার অপেক্ষায় গোটা ফুটবল বিশ্ব।
লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে প্রাচীন এই টুর্নামেন্টের সফলতম দুই দলের নাম উরুগুয়ে এবং আর্জেন্টিনা। যারা এখন পর্যন্ত ১৫টি করে শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলেছে।
পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে লাতিন আমেরিকার আরেক পরাশক্তি ব্রাজিল, যারা ৯টি শিরোপা জিতেছে। এছাড়াও প্যারাগুয়ে, চিলি ও পেরু ২টি করে এবং কলম্বিয়া ও বলিভিয়া ১টি করে শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে।
কোপা আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক আর্জেন্টিনার নরবের্তো মেন্ডেস ও ব্রাজিলের জিজিনিয়ো। যৌথভাবে সমান সংখ্যক ১৭ গোল করে এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে তারা।
১৫ গোল করে যৌথভাবে তালিকার দুইয়ে রয়েছে সেভেরিনো ভারেলা (উরুগুয়ে) ও তেওডোরো ফার্নান্দেজ (পেরু)।
যৌথভাবে তালিকার তৃতীয়স্থানে অবস্থান করছে ১৪ গোল করা পাওলো গুয়েরেরো (পেরু) ও এদুয়ার্দো ভার্গাস (চিলি)।
কোপা আমেরিকার সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডে ভাগ বসাতে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি মেসির দরকার আর মাত্র ৫ গোল। ৩৪ ম্যাচে তার গোল এখন ১৩টি। যৌথভাবে তিনি এখন আছেন তালিকার চারে।
এছাড়া কোপা আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি ৩৪ ম্যাচ খেলার রেকর্ড ১৯৫৩ সাল থেকে একার করে রেখেছিলেন চিলির গোলরক্ষক সের্হিও লিভিংস্তোন।
২০২১ সালের ফাইনাল খেলে তার পাশে নাম বসান মেসি। এবার এককভাবে চূড়ায় উঠবেন আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। আগামীকাল আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই ৩৫ ম্যাচ খেলার মধ্যে দিয়ে এ রেকর্ড নিজের করে নেবেন মেসি।
কোপা আমেরিকায় দুটি করে হ্যাটট্রিক আছে ১০ জনের। এবার একটি হ্যাটট্রিক করলে এই তালিকায় নাম লেখাবেন মেসি। টুর্নামেন্টিতে তার একমাত্র হ্যাটট্রিক ২০১৬ আসরে, পানামার বিপক্ষে। এছাড়া কোপা আমেরিকা সর্বপ্রথম হ্যাটট্রিক দেখে ১৯১৯ সালে ব্রাজিলের আর্থার ফ্রিডেনরিচের পা থেকে।