দীর্ঘ ২৪ বছর পর দুদিনের সফরে উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার এ সফরে আরও জোরালো হবে মস্কো-পিয়ংইয়ং সম্পর্ক। তবে বিষয়টি ভালোভাবে দেখছে না দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে পিয়ংইয়ংয়ের বিমানবন্দরে পৌঁছান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাকে বহনকারী উড়োজাহাজ পাহারায় ছিল অন্তত একটি যুদ্ধবিমান। এ সময় পুতিনকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। এরপর তারা চলে যান হোটেলের দিকে।
পুতিনের এ সফরে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি অংশীদারি চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে জানিয়েছেন পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ। তিনি বলেন, ‘চুক্তিটি দেশ দুটির মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়াবে। গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অর্থনীতি ও নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দেশ দুটির মধ্যে যা হয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় রেখেই এ চুক্তি স্বাক্ষর হবে।’
পুতিনের এ সফরকে ইতিবাচকভাবে নিচ্ছে না দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। এ সফর নিয়ে গত শুক্রবার মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ট ক্যাম্পবেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন দক্ষিণ কোরিয়ার ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম হং কিউন। সিউলের শঙ্কা, পুতিনের সফরে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়বে; যা জাতিসংঘের প্রস্তাবের লঙ্ঘন।
পুতিন সবশেষ উত্তর কোরিয়া সফরে যান ২৪ বছর আগে ২০০০ সালের জুলাইয়ে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাশিয়া সফরে যান কিম জং উন। তখন তিনি পুতিনকে নিমন্ত্রণ জানান। সেই নিমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই তিনি সফরে গেলেন।