দুই বাংলার প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) দক্ষিণ কলকাতার উডল্যান্ড হাসপাতালে তার শরীরের প্রতিস্থাপিত পেসমেকার বদলানো হয়।
গত শনিবার (১৫ জুন) মৃদু শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন শীর্ষেন্দু। তবে এখন তিনি পুরোপুরি সুস্থ আছেন। মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে সময় সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লেখককন্যা দেবলীনা মুখোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ২০ বছর আগে প্রথম বাবার শরীরে পেসমেকার বসানো হয়েছিল। এর দ্বিতীয়টাও প্রায় সাড়ে ৯ বছর চলল। এবার তৃতীয় পেসমেকার প্রতিস্থাপন করা হলো। কেননা, দ্বিতীয় পেসমেকারের মেশিনটার সময় শেষ হতে যাচ্ছিল। চিকিৎসকদের পরামর্শেই বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
এদিকে, ৮৮ বছর বয়স্ক প্রবীণ এই লেখকের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই চারদিক থেকেই খোঁজ-খবর শুরু হয়।
দেবলীনা সময় সংবাদকে আরও বলেন, বাবার প্রতি এই ভালোবাসা দেখে তারা মুগ্ধ। তিনি বিশ্বাস করেন, এই ভালোবাসায় তার বাবা দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন।
উল্লেখ্য, পাঠকপ্রিয় এই লেখক অসংখ্য হৃদয় ছোঁয়া লেখা লিখেছেন। ছোট গল্প, শিশুতোষ, উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনী ছাড়াও বহু সম্পাদকীয় এসেছে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের কলম থেকে। আনন্দবাজার গোষ্ঠীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় ছিলেন পেশাগতভাবেও যুক্ত। যদিও তিনি এখন ঘরে বসেই লেখালেখির কাজ সামলাচ্ছেন।
দক্ষিণ কলকাতায় বাড়ি হলেও আদতে বাংলাদেশের মানুষ প্রখ্যাত এই উপন্যাসিক। দেশভাগ হওয়ার আগে ময়নমনসিংহ থেকে পরিবার নিয়ে চলে এসেছিলেন লেখকের বাবা। সেই থেকেই বসবাস এখানে। তবে তার মন পড়ে থাকে পদ্মাপাড়ের দিকে। তাই তো পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে তিনি বেশি জনপ্রিয় বাংলাদেশে- এমনটাই মনে করেন তার পাঠক মহল।