ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আটকা পড়েছেন। সেখানে তারা একদিকে যেমন চরম বিশুদ্ধ পানির অভাবে ভুগছেন, তেমনি নেই স্যানিটেশনের ব্যবস্থাও।
শনিবার (১৫ জুন) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির উপ-নির্বাহী পরিচালক কার্ল স্কাউ এ তথ্য জানিয়েছেন।
আট মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলি বর্বরতায় চরম মানবিক সংকটের মুখে নিরীহ গাজাবাসী। কিছুতেই যেন থামছে না মৃত্যুর মিছিল। জাতিসংঘে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব যেন কাগজে কলমেই থেমে রয়েছে। বিশ্ববাসীর তোপের মুখে পড়েও নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল নেতানিয়াহু প্রশাসন।
এদিকে, নিরাপদ খাদ্য, পানি ও জ্বালানি সংকটে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ফিলিস্তিনিরা। অপুষ্টিতে ভুগে এবং ক্ষুধার জ্বলায় এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি শিশু মারা গেছে। এখনো মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছে ২০০টিরও বেশি শিশু। রাফায় অভিযান চলার কারণে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে ত্রাণ সরবরাহ।
এ ছাড়াও দুইবার হামলা চালানো হয়েছে মজুতকারী গুদামগুলোতে। যাতে নষ্ট হয়েছে প্রয়োজনীয় খাবার ও পানি। এমনকি ঘুমানোর জন্যও নেই কোনো ব্যবস্থা।
জাতিসংঘের স্যাটেলাইট সেন্টারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গাজার ৭০০ মাইল রাস্তা ধ্বংস হয়ে গেছে। যা ভূখণ্ডটির মোট সড়ক পথের ৬৫ শতাংশ। ৮৮ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি ভেঙে গেছে। নষ্ট হয়েছে ১৩০টি অ্যাম্বুলেন্স। ৮০ শতাংশ ব্যবসায়ীক ভবন ধসে গেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতা ওসামা হামদান বলেছেন, ‘গাজায় বর্তমানে এক শতাধিক ইসরাইলি জিম্মি আছেন। তাদের মধ্যে ৭০ জনের বেশি জিম্মি জীবিত থাকতে পারেন। তবে ঠিক কতজন এখনও জীবিত আছেন, তা কেউই নিশ্চিতভাবে জানে না।’
গত সপ্তাহে ইসরাইলি বাহিনীর উদ্ধার করা চার জিম্মিকে আট মাসের বেশি বন্দি অবস্থায় থাকলেও তাদের নির্যাতন করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
বাকি জিম্মিদের অবস্থা এখন ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে সম্ভাব্য চুক্তির আলোচনার ওপর নির্ভর করছে। টানা আট মাস ধরে গাজায় চলমান ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছে ৩৭ হাজার ফিলিস্তিনি।