জো বাইডেনের বয়সকেই নির্বাচনী প্রচারণার হাতিয়ার বানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেখানেই যান সেখানেই যেন নিজের চেয়ে সাড়ে ৩ বছরের বড় বর্তমান প্রেসিডেন্টকে কটাক্ষ করেন। কখনো তার বয়স, আবার কখনো স্মৃতিশক্তি নিয়ে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজেকে শ্রেষ্ঠ ও বেশি যোগ্য মনে করেন শুক্রবার ৭৮তম জন্মদিন পালন করা ট্রাম্প।
একে অন্যকে বুড়ো বলার সুযোগ যেন কিছুতেই হাতছাড়া করতে চান না যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট। হোক সেটা, নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়ে কিংবা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে।
শুক্রবার (১৪ জুন) ট্রাম্প পালন করেছেন তার ৭৮তম জন্মদিন। সে উপলক্ষে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাইডেন একটি পোস্ট করে লেখেন, শুভ জন্মদিন ডোনাল্ড। বয়স কেবলই একটি সংখ্যা।
এদিকে, নিজের বয়স ৭৮ ছাড়ালেও ৮১ বছরের বাইডেনকে বুড়ো বলতে ছাড়েন না সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। বাইডেনের বয়সকেই যেন নির্বাচনী প্রচারের প্রধান বিষয়বস্তু বানিয়েছেন ট্রাম্প। নিজেকে বাইডেনের চেয়ে শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে তুলে ধরতে ট্রাম্প অনেক সময় তাকে বয়স নিয়ে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেছেন।
তার প্রচারশিবির থেকে প্রায় প্রতিদিন বাইডেনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হোঁচট খাওয়া বা কথা বলার সময় ভুলে যাওয়ার মতো নানা বিষয় নিয়ে ভিডিও প্রকাশ করা হয়ে থাকে। তাদের দাবি, বাইডেন যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্যকর নন, এসব ভিডিও তারই প্রমাণ। তবে, ট্রাম্প শিবিরের এসব ভিডিওর বেশির ভাগ সম্পাদনা করা ও বাস্তবতার সঙ্গে কোনো মিল থাকে না।
ট্রাম্পের প্রচার শিবির থেকে বাইডেনের বয়স নিয়ে খোঁচা দেয়া হলেও অনেকেই ভুলে যান, বাইডেনের চেয়ে মাত্র সাড়ে তিন বছরের ছোট ট্রাম্প।
মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারবিষয়ক প্রভাষক ম্যাথু ফস্টার বলেন, শারীরিক সক্ষমতার ক্ষেত্রে দুজনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু পার্থক্য চোখে পড়ে। কারণ, বাইডেনের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়। কিন্তু ট্রাম্পের ক্ষেত্রে কাজের সময়ের ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। তিনি জনসমক্ষে বেশি থাকেন।যখন সমর্থকদের সামনে ভাষণ দেন তখন দীর্ঘক্ষণ, অসংলগ্ন অনেক আবেগনির্ভর কথাবার্তা বলেন ট্রাম্প।
তার মতে, মার্কিনরা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বয়সের চেয়ে অর্থনীতি, অভিবাসনের মত বিষয়গুলো চিন্তা করে ভোট দেবেন বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যিনি জয়ী হবে তিনিই হবেন সবচেয়ে বয়স্ক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কারণ, ট্রাম্প ও বাইডেন দু’জনার চেয়ে বেশি বয়সে আর কেউ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হননি।