টানা তৃতীয় দিনের মতো ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছেন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা। শুক্রবার (১৪ জুন) উত্তর ইসরাইলের মেতুলা ও দখলকৃত শেবা ফার্মস এলাকায় বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মেতুলায় দুটি বাড়ি ও একটি বাসে আগুন ধরে যায়। তবে তাৎক্ষণিক হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরাইলেরর স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, মেতুলায় ইসরাইলি সেনা ও কৃষকদের লক্ষ্য করে শুক্রবার পাঁচটি ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র মাটিতে পড়ায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে আগুন। যা নেভাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
গাজায় তাণ্ডব শুরুর পর থেকেই ইসলাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। তবে গত মঙ্গলবার লেবাননের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ইসরাইলি হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহর তিন সদস্য। তাদের মধ্যে নিহত তালেব আবদুল্লাহ গোষ্ঠীটির সিনিয়র ফিল্ড কমান্ডার বলে জানিয়েছে তিনটি নিরাপত্তা সূত্র।
নিরাপত্তা সূত্র আরও জানিয়েছে, নিহত তালেব হিজবুল্লাহর সবচেয়ে সিনিয়র কমান্ডার ছিলেন। তিনি দক্ষিণ সীমান্তের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের হিজবুল্লাহর কমান্ডার ছিলেন।
এর বদলা নিতেই বুধবার ইসরাইলের উত্তরাঞ্চল লক্ষ্য করে ২০০টির বেশি রকেট ও ড্রোন ছোড়ে হিজবুল্লাহ। এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার ইসরাইলের নয়টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানোর দাবি করে ইরানপন্থি সংগঠনটি।
এদিকে গাজায় হত্যাযজ্ঞ চালানোর কারণে ইসরাইলি সরকার প্রধান বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা কমতে কমতে এখন তলানিতে ঠেকেছে।
শুক্রবার (১৪ জুন) ইসরাইলি দৈনিক পত্রিকা মারিভের প্রকাশিত এক জরিপ অনুসারে, নেতানিয়াহুকে প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য উপযুক্ত মনে করেন মাত্র ৩৫ শতাংশ ইসরাইলি। অর্থাৎ ৬৫ শতাংশই তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চায় না। অন্যদিকে ৪১ শতাংশ নাগরিক গান্তজের পক্ষে রায় দিয়েছেন। অর্থাৎ ৪১ শতাংশ ইসরাইলি তাকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চায়।
নেতানিয়াহুর সঙ্গে বিরোধের জের ধরেই গত রোববার (৯ জুন) নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বেনি গান্তজ। গত বছরের অক্টোবর থেকে পদত্যাগের আগ পর্যন্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।