যুদ্ধ, সংঘাত ও নিপীড়নের কারণে বিশ্বব্যাপী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৭০ লাখের বেশি। এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা- ইউএনএইচসিআর। ২০২৪ সালের শেষে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
২০২৩ সাল ছিল সংঘাতপূর্ণ একটি বছর। একদিকে গাজা, সুদান, ইউক্রেন যুদ্ধ, অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘাত। সবমিলে দুর্ভোগ বেড়েছে অসহায় মানুষের।
ইউএনএইচসিআর বলছে, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৭০ লাখের বেশি। এরমধ্যে প্রায় সাত কোটি মানুষ নিজ দেশে বাস্তুচ্যুতির শিকার হয়েছেন। আর শরণার্থী ও আন্তর্জাতিক সুরক্ষার আওতায় এসেছেন চার কোটির বেশি মানুষ।
২০২৩ সালে শরণার্থী বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সুদান ও গাজার যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। এই দুই জায়গা থেকেই বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয় লাখ লাখ মানুষকে। এছাড়াও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকেও এর জন্য দায়ী হয়েছে।
ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এর আগে আপনাদের সামনে যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল, সেখানে সংখ্যাটি ছিল ১১ কোটি ৪০ লাখ। বর্তমানে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ কোটিতে। এরমধ্যে শরণার্থী, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী, নিজ দেশে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত এবং সংঘাতের কারণে ঘরবাড়ি ছাড়া মানুষ রয়েছে।’
সংস্থাটি বলছে, গত ১২ বছর ধরে ক্রমান্বয়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। নতুন ও পরিবর্তিত সংকটের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাগুলোর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।