রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি পড়ছে। সঙ্গে বইছে ঠান্ডা বাতাসও। এতে গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরম কমে আসায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। তবে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুন) সকালে যথারীতি সূর্য উদয় হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেঘের আড়ালে চলে যায়। মাঝে মধ্যে উঁকি দিতে দেখা যায়। হালকা বাতাস থাকলেও ছিল ভ্যাপসা গরম। বিকেল থেকে রাজধানীর আকাশ অন্ধকার হতে থাকে। অবশেষে পৌনে ৫টার দিকে বিভিন্ন স্থানে ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়। ক্ষণে ক্ষণে মেঘের গর্জনে কেঁপে উঠছে আকাশ।
বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও তাৎক্ষণিক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে পথচারী ও ফুটপাতের দোকানিদের।
তারা জানান, বিকেলে হঠাৎ অন্ধকার হয়ে যায় সড়ক। কিছুক্ষণ পরই বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। আগাম প্রস্তুতি না থাকায় অনেকে ভিজে যান। আবার কাউকে কাউকে আশপাশের ছাউনি ও দোকানের ভেতর প্রবেশ করতে দেখা যায়।
এদিকে, শেষ কর্মদিবসের পর বিকেলে গাবতলী বাস টার্মিনালে ভিড় করতে দেখা গেছে ঘরমুখো যাত্রীদের। রাজধানীর তীব্র যানজটের ভোগান্তি শেষ হতে না হতেই হঠাৎ নামলো ঝুম বৃষ্টি। এতে স্বস্তির বদলে বিপাকে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা।
নড়াইলগামী এমনই এক যাত্রী হোসেন গাজীর সঙ্গে কথা হয় সময় সংবাদের। তিনি বলেন, ‘মিরপুর ১০ থেকে বাসে উঠি গাবতলীর উদ্দেশে। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে যানজট পেরিয়ে টেকনিক্যাল এসে নেমে গেলাম। তাড়াতাড়ি গাবতলীর পথে হাঁটতে শুরু করি, এরমধ্যেই নেমে এলো ঝুম বৃষ্টি। এখন ব্যাগ, লাগেজ নিয়ে কীভাবে বাস কাউন্টারে যাবো বুঝতে পারছি না। ভালোই বিপদে পড়লাম।’
কথা হয় আরেক যাত্রী সজল আহমেদের সঙ্গে। তিনি সময় সংবাদকে বলেন, ‘৬ টার টিকিট কাটছি বাড়ি যাওয়ার জন্য। এখন পাঁচটা বাজে। এমন তীব্র যানজটে পড়লাম। নেমে হাঁটা দিলাম বাস ধরতে। শুরু হলো তুমুল বৃষ্টি। মনে হয় বাড়ি যাওয়াটাই হবে না। কখন থামবে আর কখন যাবো বুঝে আসছে না।’