Homeআন্তর্জাতিকজি-৭ সম্মেলন: আলোচনায় গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয়

জি-৭ সম্মেলন: আলোচনায় গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয়

ইতালির দক্ষিণাঞ্চলের পুগলিয়ায় গ্রুপ অব সেভেন (জি-৭) জোটের দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে শুরু হচ্ছে জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলন। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বোরগো এগনাজিয়ার একটি রিসোর্টে এ সম্মেলন শুরু হবে। এবারের সম্মেলনে আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে প্রাধান্য পাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের গাজা ইস্যু, ইউক্রেনকে সহায়তা, আফ্রিকা ও ভূমধ্যসাগরের জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু।

আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এবারের সম্মেলনের আয়োজক ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি সাত সদস্যের- যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডা এবং যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রপ্রধানদের পাশাপাশি ইউরোপীয় কাউন্সিল এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রধানদের স্বাগত জানাবেন।

এছাড়া এবারের সম্মেলনে সাইডলাইন বৈঠকের জন্য আরও ১০টি দেশের রাষ্ট্রনেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইতালি। এদের মধ্যে রয়েছেন- সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ, আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেলমাদজিদ তেবোউন, জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

আমন্ত্রিত দেশের তালিকায় সৌদি আরব ও মিশরের নাম থাকলেও, দেশ দুটির রাষ্ট্রপ্রধান সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন না বলে জানা গেছে।

আলোচনায় থাকছে যেসব বিষয় এবারের শীর্ষ সম্মেলনে আফ্রিকা এবং ভূমধ্যসাগরীয় নিরাপত্তা ইস্যু বেশ প্রাধান্য পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা, মেলোনি তার ‘ম্যাটেই প্ল্যান’ নামক ‘ফ্ল্যাগশিপ’ বৈদেশিক নীতির পরিকল্পনা প্রসারিত করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এ প্রকল্পের লক্ষ্য আফ্রিকার প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে ইতালিকে একটি প্রধান শক্তির কেন্দ্র হিসেবে স্থাপন করা এবং এর মধ্যদিয়ে ইউরোপে অভিবাসন রোধ করা।

ইউক্রেনের জন্য সমর্থনও এবারের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রয়েছে। সম্মেলনের প্রথমদিনে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর জন্য রাখা দুটি সেশনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। সম্মেলনের সবচেয়ে প্রত্যাশিত ফলাফল হলো- ইউক্রেনের জন্য ৫০ বিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ চুক্তি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর পশ্চিমাদেশগুলোতে রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ থেকে এ চুক্তি হতে পারে বলে জানা গেছে।

তবে এবারের সম্মেলন থেকে যেকোনো চুক্তি ঘোষণার একটি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য’ রয়েছে বলে আলজাজিরাকে জানিয়েছে ইতালির একটি সূত্র।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, এ ধরনের চুক্তি কিয়েভের সঙ্গে ঐক্যের একটি শক্তিশালী বার্তা দেবে, যখন ইউক্রেনীয় সেনারা পিছিয়ে আছে আর মস্কো দেশটির পূর্ব ও উত্তরে আধিপত্য বিস্তার করছে। এছাড়াও জরুরি ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের নভেম্বরের নির্বাচনে হোয়াইট হাউসে ‘সম্ভাব্য পরিবর্তনও’ আলোচ্যসূচিতে যোগ করা হয়েছে।

সম্মেলনে মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে আরেকটি সেশন হবে। যেখানে গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন প্রাধান্য পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, রাষ্ট্রপ্রধানরা সম্ভবত তাদের অতীতের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করতে পারেন। হামাসকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে নেয়ার আহ্বান থেকে শুরু করে এই অঞ্চলে শান্তির জন্য দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে পোপ ফ্রান্সিসও থাকবেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে একটি সেশনের জন্য শীর্ষ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো একজন পোপকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সেশনগুলোতে অভিবাসন, আর্থিক সমস্যা এবং এশিয়া প্যাসিফিকের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে।

সর্বশেষ খবর