একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক জিয়াসহ সাজাপ্রাপ্ত পলাতক ১৫ আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১২ জুন) জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য বেগম ফরিদা ইয়াসমিনের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়াসহ সাজাপ্রাপ্ত ১৫ আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে। বিদেশে পলাতক আসামি মাওলানা তাজউদ্দীন, মো. হারিছ চৌধুরী ও রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে রাতুল বাবুদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা আছে।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে গ্রেনেড হামলা করা হয়। এ ঘটনায় দণ্ডবিধির ৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৪ ধারা এবং বিস্ফোরকদ্রব্য আইন ১৯০৮-এর ৩/৪ ধারায় মতিঝিল থানায় মামলা হয়, যার নং: ৯৭ তারিখ: ২২/৮/২০০৪ খ্রি.।
সরকারপ্রধান বলেন, মামলাটির কার্যক্রম দীর্ঘ তদন্ত শেষে মোট ৫২ আসামির বিরুদ্ধে ২টি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। রায় ঘোষণার আগে অভিযোগপত্রভুক্ত ৫২ জন আসামির মধ্যে ৩ জনের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১, ঢাকার বিচারক ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর রায় ঘোষণা করেন। বিচারে ৪৯ জন আসামির সাজা হয়, যার মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। সাজাপ্রাপ্ত ৪৯ আসামির মধ্যে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।